কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকার পরেও অঘোষিতভাবে পহেলা বৈশাখ সোমবার থেকে শুরু হয়। মেলা বন্ধের দাবিতে শনিবার সকালে বিএনপির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শনিবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈদুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে মেলা বন্ধ করে দেন।
উল্লেখ্য, কটিয়াদীতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশেই কটিয়াদী সরকারি কলেজ মাঠে, কটিয়াদী বাজার বণিক সমিতি মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে আয়োজিত মেলা বন্ধ করার জন্য কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন, কটিয়াদী পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, সাধারণ সম্পাদক সজল সরকার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মিজানুর রহমান স্বপন, জসিম উদ্দিন মেনু, শফিকুল রহমান বাদল, মো. শহিদুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক চান মিয়া মাস্টার, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ জাহান সিরাজী, মীর মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মাসুদ, কটিয়াদী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ শরীফসহ শতাধিক নেতাকর্মী স্বাক্ষর করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জাতীয় নাগরিক কমিটি পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেন। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মেলার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসকের আদেশকে উপেক্ষা করে অঘোষিতভাবে পহেলা বৈশাখ সোমবার থেকে মেলা চালু করা হলে শনিবার সকালে কটিয়াদী পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সজল, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদল, জসিম উদ্দিন মেনুসহ আরও অনেকেই।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, কটিয়াদী বাজার বণিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত বাণিজ্যমেলা প্রশাসনিক কোনো অনুমতি নেই। এ ধরনের মেলা চালাতে হলে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।
প্রশাসনিকভাবে কোনো ধরনের অনুমতি না থাকায় আমি সরেজমিনে গিয়ে মেলা বন্ধ করে দিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :