যশোর জেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ বলছে, দলীয় পরিচয়ে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি পুলিশ। বিভিন্ন মামলার আসামি ধরাসহ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।
এদিকে, দিন-দুপুরে পুলিশি বহর নিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িতে অবস্থানে প্রতিবেশীদের মধ্যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতাও অভিযানের সময় নেতাকর্মীদের বাড়ির সামনে ভিড় করেন। যদিও এসব নেতা ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতটি গাড়ি নিয়ে পুলিশ প্রথমে যায় শহরের কাঁঠালতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িতে। যদিও বাড়িটি গণঅভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়। শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে আর থাকেন না। পোড়া এ বাড়িতে সংস্কারকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যায় পুলিশ।
এরপর পুলিশের টিম যশোর পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলনের’ বাসায় যায়। সেখান থেকে শহরের কদমতলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়িতে যায়। সেখানে জুয়েলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান পুলিশ সদস্যরা।
এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘কোনো দলীয় পরিচয়ে কারো বাড়িতে অভিযান চালানো হয়নি। অস্ত্র ও মাদক অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযানে যায় পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করা যায়নি।’
এদিকে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, যশোরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছেন। গতকাল শনিবার ঝটিকা মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা; তারই অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পুলিশের এ অভিযান।
আপনার মতামত লিখুন :