টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানের ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জমিয়াতুল মোদারেছিন উপজেলা শাখার সভাপতি আফছার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুলসহ কয়েকজন সহায়ক পাঠ্যবইয়ের একটি কোম্পানি থেকে নেওয়া অর্থ আত্মসাৎ করলে এর প্রতিবাদ করেন অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহান। এর জেরে চলমান এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব পদ থেকে অধ্যক্ষ ছোবহানকে অপসারণ করে আফছার উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয় মাদ্রাসা বোর্ড।
এ মনোনয়নের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গত ৮ এপ্রিল কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পুনরায় ফিরে পান অধ্যক্ষ ছোবহান। ৯ এপ্রিল আদালতের রায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সেদিন রাতেই সহকারী কমিশনার মাদ্রাসায় গিয়ে জানান, আফছার উদ্দিনই কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় তিনি অধ্যক্ষ ছোবহানকে বয়সের তোয়াক্কা না করে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমার পিঠের চামড়া তুলে নেব।’
পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্রের ঘাটতি ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যক্ষসহ মোট ৬ জনকে আটক করে এবং পরবর্তীকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অধ্যক্ষের ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কথা বলতেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসিল্যান্ড শুধু শারীরিকভাবে নির্যাতনই করেননি, অপমানও করেছেন। অথচ প্রশ্নপত্র বিতরণকারী নূরুল হুদার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু ডিসি স্যারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, কতটা সত্য তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
এদিকে, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’