সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৯:২৭ এএম

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক পেলেন জিয়া মঞ্চের সভাপতি পদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৯:২৭ এএম

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক পেলেন জিয়া মঞ্চের সভাপতি পদ

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে একই ইউনিয়নের জিয়া মঞ্চের সভাপতি করা হয়েছে। এতে দলটির নেতাকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টুটুল ছিলেন উপজেলার হরণী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী এবং সব সভা-সেমিনারে এক সময় সক্রিয় ছিলেন। নিয়েছেন দলীয় সুযোগ-সুবিধা। গত ২৮ নভেম্বর জিয়া মঞ্চের হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন শাখার ২০ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মী জানান, বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা ছিল টুটুলের। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কীভাবে নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে এবং কীভাবে জিয়া মঞ্চের মতো সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয়।

জানতে চাইলে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বলেন, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী আমাকে জোর করে পদ দিয়েছে। আমি পদ প্রত্যাখ্যান করে এলাকা থেকে বেরিয়ে গেছি। তিন বছর এলাকায় থাকতে পারেনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আওয়ামী লীগ আমাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।

জাতীয় নির্বাচনের সময় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী নলের চর ও আলী বাজারের আমার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ আমাকে তার বাসায় যেতে হয়। বাসায় যাওয়ার পরে ১৮ এর নির্বাচনের সময় আমি তাদের সাথে ছিলাম। এটা সত্য, এরপর আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া হাতে লিখিত একটি কাগজের মাধ্যমে নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিতে আমাকে সাধারণ সম্পাদক রেখেছে। তৎকালীন সময়ে আমি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করি। পদত্যাগ করার পরে আমি এলাকায় থাকতে পারিনি।

এরপর আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলে আমি এলাকা থেকে চলে যাই। এটা আমার এলাকার সবাই জানে। আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে সব প্রমাণ আছে, আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরণী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস বলেন, টুটুলকে ২০১৭ সালের দিকে হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হয়। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর ওই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে টুটুল আমাদের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।  

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বলেন, টুটুল এক সময় ছাত্রদল করত। ২০২০ সালের পর থেকে তিনি ফেসবুকে সরকারবিরোধী ব্যাপক পোস্ট করেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো কমিটি বাতিল করা হয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!