মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

আ.লীগ থেকে ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভিপি নুরের দলে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

আ.লীগ থেকে ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভিপি নুরের দলে

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক রূপান্তর লক্ষ করা যায়। সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা সুবিধাভোগী কিছু মহল হঠাৎ করেই ভোল পাল্টে বিরোধী সাজার প্রতিযোগিতায় নামে। 

এমন পরিস্থিতিতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় দেখা যাচ্ছে একসময় আওয়ামী লীগপন্থি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা এখন গণঅধিকার পরিষদে আশ্রয় নিচ্ছেন। 

অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে এসব আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ‘ভিপি নূর’-এর গণঅধিকার পরিষদের যুব অধিকার পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করছেন।

জানা গেছে, পূর্বধলা উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সদ্যঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মো. জাহিদ হাসান কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস বেপারি, সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক মো. এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল খান এবং কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মো. রাব্বি কাওসার (বাবু)।

এরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এসব পদ ‘বাণিজ্যের’ মাধ্যমে ভাগিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনের সাবেক নেতা-কর্মীরা।

পূর্বধলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক অর্থ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন ও জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব হিরামণ তালুকদার হিরণ বলেন, ‘এরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঘনিষ্ঠ। যা প্রমাণ করার মতো অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এ পদ বণ্টন মূলত বিগত দিনের অপকর্ম আড়াল করার কৌশল।

সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. হক মিয়া শেখ বলেন, ‘জেলা কমিটির সভাপতি রাজু রায়হানকে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজু রায়হান আমাকে বলেন, ‘সংগঠন চালাতে টাকা দরকার, তাই এসব লোককে পদ দেওয়া হয়েছে। আমি কমিটি দিয়েছি, প্রত্যাহার করব না।’

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, কাঞ্চন একসময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রয়েছে রক্ত কেনাবেচার জালিয়াতির অভিযোগ।

তবে জাহিদ হাসান কাঞ্চন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধে যুক্ত ছিলাম না। আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলাম, তবে কোনো পদ-পদবিতে ছিলাম না। আমার নামে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ থাকলে অভিযোগ স্বীকার করব।’

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ‘উপজেলা কমিটি গঠন কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয় নয়। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কমিটিকে বিলুপ্ত করা হবে। বিতর্কিত কেউ থাকলে তাদের কমিটিতে রাখা হবে না।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!