পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রদলের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জুলাই-আগস্টের গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জিহাদ, তানজিদুর জামান দিহান এবং রাতুল হাসান। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের দেয়ালে জুলাই-আগস্টের গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের নাম লেখা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন।
এ সময় পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান নিলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাদের মধ্যে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। অধিকাংশ দৌড়ে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী উপজেলা সমন্বয়ক তানজিদুর জামান দিহান বলেন, ‘দোয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন মুছে ফেলার প্রতিবাদে আমরা আজকে কর্মসূচি আয়োজন করেছিলাম। আমাদের প্রোগ্রামও শেষের দিকে। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আসেন। আমরা তাদের কাছে দাবি করেছিলাম, তারা যেন আগের গ্রাফিতি পুনরায় অঙ্কন করে দেন।’
‘এ সময় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমিসহ ৩ জন আহত হয়েছি। ফ্যাসিবাদের সময় ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছিল, আজকে ছাত্রদল সেভাবে হামলা করল।’
তবে, হামলার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, ‘কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা নিজেরাই নিজেরাই ঝামেলা করে আমাদের দোষ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে পুলিশ, র্যাব, ডিবি উপস্থিত ছিল। আপনি তাদের কাছে থেকে শুনতে পারেন। কোনো হামলা হয়নি। ঈশ্বরদীতে তারা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) খুব বাড়াবাড়ি করছে।’
আপনার মতামত লিখুন :