গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাই পথে আসা বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। সাগর থেকে অবৈধ ট্রলারযোগে বিষখালী নদীপথে গভীর রাতে বরগুনা বাজারে মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল।
এ ঘটনায় মহিপুরের নাওরিপাড়ার ট্রলার মালিক আবুল হোসেন কাজী ও বরগুনা বাজারের শরীফ ফিস আড়তের মালিক কুদ্দুস শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জব্দকৃত মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোররাত ৪টার সময় বরগুনা মাছ বাজারে সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসানের নেতৃত্বে, উপপরিদর্শক সোহেল রানাসহ পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বরগুনা মাছ বাজারের শরীফ আড়ৎ থেকে সামুদ্রিক মাছের অবৈধ চালানটি আটক করে।
পরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি মাছ নিলামে তোলেন। নিলামে বিক্রি হওয়া মাছের মধ্যে ছিল তুলার ডাডি, টাইগার চিংড়ি, পোয়া, জাবাসহ ছোট ও মাঝারি জাতের মাছ।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্য বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সেক্রেটারি হুমায়ূন কবির খান লিটন জানান, নিলামে বিক্রি হওয়া মাছগুলো মহিপুর থেকে আনা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মাছ আটক করে। পরে নিলামে তুলে বিক্রি করা হয় মাছগুলো। তবে মাছের সাইজ দেখে বোঝা যায় মাছগুলো ট্রলিং বোটের জালে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছ আহরণ, বিপণন, সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরে বিক্রি করতে আসলে বরগুনা সদর থানা পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে সামুদ্রিক মৎস্য আইনের আওতায় মাছগুলো নিলামে তোলা হয়। নিলামে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় অবৈধ ট্রলিংবোটে সমুদ্রে মাছ ধরার প্রস্তুতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। সরকারের দেওয়া ১৫ এপ্রিল সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পূর্বে এসব বোট বরফ বোঝাই করে সমুদ্রে গিয়েছিল মাছ ধরতে। পাথরঘাটা জেলেরা দীর্ঘদিন এই অবৈধ ট্রলিং বোটে মাছ ধরা বন্ধের দাবি করে আসছে।
ট্রলিংয়ের নিষিদ্ধ জালে আটকে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে সব প্রজাতির রেণু ও ছোট আকারের মাছ। জেলেদের দাবি সাগরে ট্রলিং বোট বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :