চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ব্যথা নিরাময়ের চিকিৎসা নিতে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসক কামরুল ইসলামের কাছে প্রতারিত হয়েছেন দরিদ্র রিকশাচালক খলিলুর রহমান (৫৫)।
থেরাপি দেওয়ার নামে তার শরীরের বড় অংশ ঝলসে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে ওই চিকিৎসক ভুয়া বলে প্রমাণিত হন।
অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসককে সাজা হিসেবে এক লাখ টাকা জরিমানা ও রোগীর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২১ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে বাঁশখালী হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম জানান, ওই পল্লী চিকিৎসক ফেসবুক ও ইউটিউব ভিডিও দেখে থেরাপি চিকিৎসা দিতেন বলে জানা যায়। পরে তিনি দোষ স্বীকার করেন।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় কোমর ও পিঠের ব্যথা নিয়ে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের আলিবলি পাড়া এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে রিকশাচালক খলিলুর রহমান নাপোড়া বাজারস্থ শেখেরখীল এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে কামরুল ইসলামের চেম্বারে যান।
কামরুল ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে আসছিলেন। এদিকে, থেরাপি দিতে গিয়ে রিকশাচালক খলিলুর রহমানের শরীর ঝলসে গেলে তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসেন।
এ সময় কামরুল ইসলাম তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় রিকশাচালক খলিলুর রহমানকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। রোগীর সঙ্গে ভুয়া ডাক্তার কামরুল ইসলামকেও উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। তিনি বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক, রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভুয়া ডাক্তার কামরুল ইসলামকে জেরা করা হয়।
এ সময় কামরুল ফেসবুক-ইউটিউব ভিডিও দেখে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছেন বলে নিজের দোষ স্বীকার করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :