ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে টিকটকে বিরোধের জেরে যশোর থেকে এসে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রিয়াজ নামে একজনকে জনতা ছুরিসহ ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ছুরি নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়া যুবক রিয়াজ উদ্দিন (১৭) যশোর পৌরসভার লিচু বাগান এলাকার শাহিনুর রহমানের ছেলে।
আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইফতেখার আনোয়ার প্রেম (১৭) ও তার বন্ধু মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদুর রহমানের ছেলে নাজমুস সাকিব হিমেল (১৭)। এরা দুজনই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
স্থানীয় সোহেল হোসেন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে কালীগঞ্জের হিমেল ও যশোরের রিয়াজ একে অপরকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে রিয়াজ ও তার বন্ধু যশোর থেকে কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকল কলোনিতে আসে। কলোনিতে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে। সেখান থেকে তারা মোবারকগঞ্জ চিনিকল স্কুল মাঠে আসে।
এ সময় রিয়াজ ও হিমেলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পকেট থেকে রিয়াজ ছুরি বের করে হিমেলকে জখম করে। এ সময় আর এক বন্ধু ইফতেখার আনোয়ার প্রেম ঠেকাতে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন রিয়াজকে ছুরিসহ ধরে ফেলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় হোসেন বলেন, যশোর থেকে আসা ওই দুই যুবক এসে হিমেলের সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি শুরু করে। হিমেলকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে রিয়াজ। এ সময় প্রতিবাদ করলে মারামারিতে লিপ্ত হয় তারা। একপর্যায়ে ওই ছেলে পকেট থেকে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি চালাতে থাকে। পরে দেখি হিমেল ও প্রেমের পায়ে ছুরি লেগে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি টিকটকে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। রিয়াজ উদ্দিন যশোর থেকে গতকাল তার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসে।
এ সময় বিকেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হিমেলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তখন প্রেম ঠেকানোর জন্য এগিয়ে এলে তাকেও ওই ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাদের ভাগ্য ভালো ছুরির আঘাত তাদের পায়ে লাগেছে। সবাই একই বয়সের। রিয়াজের কাছ থেকে একটি চায়না ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।