মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়া বন্ধুর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিক। কিন্তু আসার পরপর তারা অপহৃত হন।
পরে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া শ্রীলঙ্কান তিন নাগরিক হলেন, মালাভি পাঠিরানা ওরফে নিহাল আনন্দ, পাঠিরানা ওরফে টিকিরি কুমারীহামী এবং থুপ্পী মুডিয়ানসিলা নিল।
আটকরা হলেন, মোল্লাহাট উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের সবুর শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (২৪), একই গ্রামের সেরাত কাজীর ছেলে কাজী এমদাদ হোসেন (৫২) এবং পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের জাকির শেখের ছেলে জনি শেখ (৩৮)।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘সম্প্রতি এমদাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান ওই নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে ব্যবসার কথা বলে তাদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান এমদাদ।’
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে; যাদের মধ্যে একজন ওই তিন শ্রীলঙ্কানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি গ্রামের এমদাদ কাজীর বাড়ি থেকে শ্রীলঙ্কান ওই তিন নাগরিককে উদ্ধার করা হয় বলে জানান বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ।
‘মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কান তিন নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। আসার পর তাদের জিম্মি করা হয়। পরে শ্রীলঙ্কায় পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলা হয়, তাদের অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে তাদের ছাড়া হবে না। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের ঢাকা থেকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের স্বজনরা বিষয়টি তাদের দেশের দূতাবাসে জানালে সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।’
পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এমদাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শ্রীলঙ্কান তিন নাগরিককে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।
শ্রীলঙ্কান তিন নাগরিককে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
