বিভিন্ন মোকাম থেকে দেশি-বিদেশি কাপড় সংগ্রহ করেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম। এরপর নিজের দোকানে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখেন কাঠের তাকে।
তারপর নিজে পোশাক তৈরি করে ডেলিভারি দেন সব ধরনের মানুষের কাছে। দর্জির কাজ করেই চলে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের সংসার।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ নতুন বাজারে লিখন মার্কেটে রয়েছে তার দোকান। সেখানে দোকান ভাড়া নিয়েই পোশাক তৈরির কাজ করেন তিনি।
শরিফুল ইসলাম উপজেলার নলকা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কুমাজপুর গ্রামের মো. নুরুল বাশারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সাহেবগঞ্জ নতুন বাজারের পাশে লিখন মার্কেটে কথা হয় শরিফুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘২৪ বছর ধরে দর্জির কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। বছরের প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের কাপড় দিয়ে পাঞ্জাবি, শার্ট, বোরকা, প্যান্ট, থ্রি-পিস ও সালোয়ার-কামিজ তৈরি করি। এ পেশা থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে বরাদ্দ পাই, সবই গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করি।’
ইউপি সদস্য শরিফুলের কাছে পোশাক তৈরি করতে আসা অনেকেই বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদের কাজ শেষ করে দোকানে বসে ভালো মানের পোশাক তৈরি করেন। তিনি আমাদের সবার কাছে পরিচিত মুখ।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদুল হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি দর্জির কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাচ্ছেন শরিফুল ইসলাম। বেকার না থেকে এভাবে ব্যবসা করলে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’