আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম জেলা গণঅধিকার পরিষদ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চকবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে রাজনৈতিক সংস্কারের সুযোগ তৈরি করেছে। আমাদের রাজনীতি এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের আর ফিরে আসার কোনো পথ না থাকে।’
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সরকার ও নেতা পরিবর্তন হলেও রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি চালিয়েছে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালায়।’
‘আন্দোলনের মুখে তাদের অনেক নেতা ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন যারা দেশে আছে, তারা জঙ্গি কায়দায় ঝটিকা মিছিল করছে। আওয়ামী লীগ আজ গুজবলীগ ও জঙ্গিলীগে পরিণত হয়েছে।’
আবু হানিফ অভিযোগ করেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জুলাই গণহত্যার বিচার ও দায়ী দলকে নিষিদ্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজনে যমুনা ঘেরাও করব।’
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আরেক উচ্চতর পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ইন্টেরিম সরকার দায়িত্ব নেয়। তাদের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল খুনি সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু আট মাসেও তারা সে কাজটি করেনি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
তিনি বলেন, ‘সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টারাও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভেতরে ভেতরে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।’
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইউসুফ।
বক্তব্য দেন, দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :