নাটোরে স্ত্রীর গোপন ভিডিও ধারণ করে করায় ছোট ভাইয়ের দুই হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম ইসরাফিল ইসলাম এবং অভিযুক্ত বড় ভাই হলেন, ইসমাইল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরাফিলরা তিন ভাই। গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জে হলেও বড় ভাই ইব্রাহিম দীর্ঘদিন ধরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ গ্রামে বসবাস করেন। মেজো ভাই ইসমাইল ইসলাম বাস করেন নলডাঙ্গার খাজুরা গ্রামে।
আর ইসরাফিল ইসলাম গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জেই থাকেন। তবে ইসরাফিল বেশকিছু দিন ধরে নাটোরে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিলেন।
বড় ভাই ইব্রাহিম ইসলাম বলেন, নাটোরে টাইলস মিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে ইসরাফিল মেজো ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোনে ভাবীর কিছু অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজো ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে ইসরাফিলের দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আমি গিয়ে ছোট ভাই ইসরাফিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
সেজো ভাই ইব্রাহীম ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরাফিল বুধবার বেড়াতে আসে। ভাবীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মোবাইলে খারাপ ভিডিও ধারণ করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।’
নাটোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন ইসরাফিলের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। কবজি দুটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সকাল আটটার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় আনা হয়েছিল। ক্ষতস্থান থেকে রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুবকের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় তদন্ত শুরু হচ্ছে। অপরাধীকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আহত ইসরাফিলের চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। স্বজনেরা ফিরে এসে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।’
আপনার মতামত লিখুন :