তেল ও মবিল ছাড়াই বগুড়ার নন্দীগ্রামের রাস্তায় চলছে ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব ছোট আকারের মিনিবাস। গাড়িটি চার চাকার হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেক কম বলে জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা। এতে যাত্রীরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই যাতায়াত করতে পারছেন। গত শুক্রবার সকাল থেকে নন্দীগ্রাম-দাসগ্রাম সড়কে এই মিনিবাস দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব এ মিনিবাস যাত্রীসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১২ সিটের এই মিনিবাসে যাত্রীদের বসার জন্য ১১টি ও চালকের জন্য রয়েছে একটি সিট। গাড়িতে উঠা-নামার জন্য রয়েছে পাঁচটি আলাদা আলাদা গেট। আলো-বাতাস চলাচলের জন্য জানালার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বাসটিতে। গাড়ির সিটগুলো বেশ আরামদায়ক। এ জন্য যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যেই যাতায়াত করতে পারছেন।
ছোট আকারের মিনিবাসে যাতায়াত করা যাত্রী সাব্বির হোসেন বলেন, আমি এ রকম ছোট মিনিবাস কোথাও দেখিনি। এই গাড়ি চলার সময় কোনো শব্দ হয় না। গাড়িতে বসার সিটগুলোও আরামদায়ক। উপজেলা শহরসহ গ্রামের সড়কগুলোতে যাতায়াতের জন্য এ ধরনের মিনিবাস অনেক উপযোগী ও আরামদায়ক।
মিনিবাসের চালক ও মালিক আবু মুছা জানান, নন্দীগ্রামে আমিই প্রথম ছোট মিনিবাস এনেছি। এই গাড়ি বানাতে আমার ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। ঠিকমতো গাড়ি চালালে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বেশি ভাড়া মারা যায়।
একবার ব্যাটারিতে চার্জ দিলে ১২০ কিলোমিটারের বেশি চলে। ভালো রাস্তা হলে ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলে। ব্যাটারিতে চার্জ দিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার বিদ্যুৎ লাগে। ইতিমধ্যে গাড়িটি দেখতে যাত্রী বাদে অনেকেই আসছেন, আবার এদের কেউ কেউ উঠে চড়ে দেখছেন।
নন্দীগ্রামের পরিবহন ব্যবসায়ী ও উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ, কারণ পরিবেশবান্ধব ছোট আকারের এই মিনিবাসে তুলনামূলক বেশি যাত্রী বহন করা যায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না হওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি হয় না। শহর ও শহরের বাইরের সড়কে এই মিনিবাস যাত্রীসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। সরকার যদি ব্যাটারিচালিত পরিবহনে সহযোগিতা করে, তাহলে এটি ভবিষ্যতের পরিবহন খাতে একটি মডেল হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :