কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় অসংখ্য গাছপালাসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি পরে গিয়ে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উড়ে গেছে অসংখ্য বসতঘর ও টিনের বেড়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শত শত বিঘার বোরো খেত ও বিভিন্ন ধরনের ফল-শাকসবজি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পরে গেছে। মৌসুমি ফসল আম, লিচু, ভুট্টা, ধান, পাটসহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
অন্যদিকে, ঝড়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নতুন একাধিক ফ্লোরের জানালার গ্লাস ভেঙে তছনছ হয়ে যায় রোগীর ওয়ার্ড। এ সময় আতংকিত হয়ে পড়ে রোগী ও তার স্বজনরা। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম নতুন রেল স্টেশন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়াসহ স্টেশন বিল্ডিংয়ের গ্লাস ভেঙে অনেকেই আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঝড়ের সময় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অবস্থান করা পাঁচগাছি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. লতিফুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ের সময় আমি হাসপাতালের ৮ম তলায় অবস্থান করেছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে বাতাসের আঘাতে জানালার গ্লাস ভেঙে পরে। এ সময় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে।’
কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকা হোসেন খাঁ পাড়া এলাকার কৃষক মমিন মিয়া বলেন, ‘আমার ৫০ শতক জমির বোরো ক্ষেত ঝড়ের বাতাসে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এতে আমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। এখন আমার আবাদের খরচ তোলাই মুশকিল হবে।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘শনিবার রাতে হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাত হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’