বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় জমি থেকে ধান তোলা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আকাশে এক খণ্ড মেঘ, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে প্রকৃতির কিছুটা সহানুভূতিতেই জমি থেকে ধান ঘরে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে।
এ বছর উপজেলায় বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুঁটেছে। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করায় এখন বিল থেকে নৌকায় ধান আনতেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে আবহাওয়ার বৈরিতা ফের শুরু হতে পারে এই আশঙ্কায় কৃষকেরা দ্রুত জমি থেকে উঠানে ধান তুলছেন।
কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকটে। চাষিরা জানান, ধান কাটা, তোলা ও মাড়াইয়ের জন্য একজন শ্রমিককে দিনে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। তারপরও সময়মতো শ্রমিক পাচ্ছেন না তারা।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের পারডুমুরিয়া গ্রামের চাষিরা জানান, কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বিল থেকে কাটা ধান উঠানে এনে পালা দিয়ে রেখেছেন তারা। এখন আর বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। সুবিধামতো সময়ে মাড়াই করে গোলায় তোলা হবে।
রায় গ্রামের চাষি সুজিত মৃধা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল ও কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফের উদ্যোগে বিলের কচুরিপানা পরিষ্কার করায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে।
চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ নিজাম উদ্দিনও চাষিদের পাশে ছিলেন। তবে চাষিরা বলেন, এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা শ্রমিক সংকট। ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা মজুরি দিলেও শ্রমিক ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্রীরামপুর গ্রামের প্রবীণ সাগর মণ্ডল আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ধান ঘরে তুলতে আরও হিমশিম খেতে হবে।