কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার তিন দিন পর জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০৮ সালে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বে স্থানীয় আবদুল হালিম নামে এক ব্যক্তিকে পুকুরের পানিতে ফেলে অপদস্ত করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। সম্প্রতি আবদুল হালিম মৃত্যুবরণ করেছেন। এই ঘটনার জেরে গত ২২ ডিসেম্বর আবদুল হালিমের ছোট ভাই আবুল হাশেমসহ কয়েকজনের রোষের মুখে পড়ে ওই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ও গতকাল রাতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জড়িতদের তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে দোকান উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু বেলাল হোসেন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না এবং এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
গত রোববার জেলার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের পাতড্ডা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু এলাকায় এলে স্থানীয় লোকজন বিব্রতকর কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাকে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে তাকে জুতার মালা গলায় দিয়ে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের মধ্য থেকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :