সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নের ইছামতি নদীতে একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘদীন ধরে ভোগান্তির শিকার ২৫ গ্রামের অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন যাবৎ সেতু নির্মানের আশ্বাস দিলেও এখনো সেতু নির্মান হয় নি। ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। ফলে মাঝে মাঝেই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার ব্যবসায়ী, স্থানীয়রা সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। কৃষি প্রধান এলাকায় হওয়ায় কৃষকদের ফসল পরিবহনেও ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা বলেন, অনেকদিন হলো একটি ব্রীজের দাবি করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্রীজ নির্মান করা হয় নি। কয়েকবার মাটি পরিক্ষা, মেপে নিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি দেখা যায় নি। একটি সেতু না থাকায় ব্যাপক ভোগান্তির শিকার স্থানীয়রা। বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে ভোগান্তিও বাড়তে থাকে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই ইছামতী নদীতে একটি সেতু নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
এক পথচারী জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে খুবই অসুবিধা। বাঁশের সাঁকোও নষ্ট হয়ে গেছে। ৩/৪ জন মিলে ধরে মোটরসাইকেল পার করলাম। তাই একটি সেতু হলে সবার ভোগান্তি কমবে।
এলাকার এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জানান, আমাদের এই ইছামতী নদীতে একটি সেতু না থাকায় পোল্ট্রি ব্যবসায় খরচ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র পরিবহনের জন্য ডিমের শতকে ২০ থেকে ২৫ টাকা খরচ বেশি পড়ে। তাই একটি সেতু নির্মান করা হলে সবার ভোগান্তি কমবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নের ইছামতী নদীতে ১৫০ মিটার ব্রীজের প্রস্তাবনা হয়েছে। তবে এখনো প্রকল্পটি পাস হয়নি। একটি প্রকল্প পাস হতে সময় লাগে। প্রকল্প পাস হলেই নির্মান কাজ শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :