ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে গোটা বরগুনা শহর, নদী তীরবর্তী এলাকা সমূহ পানির নীচে তলিয়ে আছে। আশ্রয় কেন্দ্র না যাওয়া মানুষ গুলো দিক বেদিক হয়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয় স্হলে। গোটা বরগুনার মানুষ এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত এবং বিপর্যস্ত।
রাত চারটার সময় ঘূর্ণিঝড় রেমাল চোখ রাঙাচ্ছে পুরো বরগুনা জেলার ওপর। দীর্ঘ স্হায়ী জলোচ্ছ্বাসের পানি বন্দী হয়ে থাকলেও এখন ভাটার টানে পানি নামতে শুরু করেছে।
বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ছুটে গিয়ে এবং উপচে পড়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে আছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও নিম্ন এলাকা একেবারে পানির নীচে তলিয়ে গেছে। গাছ পড়ে ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন বরগুনা শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন অফিস ও বিদ্যালয়। শহরের চরকলোনী এলাকায় খাকদন নদীর পানি প্রবেশ করে শতশত বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বরগুনা জেলা কন্ট্রোল রুমের রাত দশটার দিকে জেলার ৬৭৩ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭০ হাজার আশ্রয় নিলেও শেষ সময় তা তিন গুনের বেশি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে। এসকল আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :