শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

৭ ডিসেম্বর লাল-সবুজের পতাকা ওড়ে চুয়াডাঙ্গায়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

৭ ডিসেম্বর লাল-সবুজের পতাকা ওড়ে চুয়াডাঙ্গায়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আজ ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলায় লাল সবুজ পতাকা ওড়ে। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পাশের জেলা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ অভিমুখে পালিয়ে যায়। জেলা হয় হানাদার মুক্ত।

মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রথম রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে প্রবাসী সরকারের শপথ নেওয়ার তারিখও নির্ধারিত হয় ১০ এপ্রিল এখানে। খবরটি আগে ভাগেই জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানী হানাদাররা এখানে তীব্রতর আক্রমন শুরু করে। ফলে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আম বাগানে প্রবাসী সরকারের শপথ
অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এ দিন সকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে
প্রবেশ করে।

পরে তারা জীবননগর, দত্তনগর, হাসাদহ, সন্তোষপুর, রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকিস্তানি শত্রু বাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী প্রচন্ড যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সম্মুখ সমরে মৃত্যুবরণ করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পাশের জেলা ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়।

এ সময় জীবননগর থানায় ফেলে যাওয়া পাকবাহিনী’র ক্যাপ্টেন নারী ধর্ষণকারী ও অমানুষিক নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত মুনছুর আলীর ব্যবহৃত জিপ গাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আগুন ধরিয়ে দেয় এবং থানার মালখানা থেকে উদ্ধার করে পাশবিক নির্যাতনের পর সদ্য হত্যা করা ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ।

অপরদিকে, জেলার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর গেরিলা আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়। এর আগে ৫ আগস্ট সম্মুখ সমরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে শাহাদৎ বরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা তারেক, হাসান, আফাজ উদ্দীন, খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল, রওশান ও কিয়ামুদ্দিন।

এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্র্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়।

১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়। এদিন স্বতঃস্ফূর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম উত্তোলন করেন লাল-সবুজ খচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকান্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়।

এ কারণে জাতীয় গৌরবের প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গা জেলার নন্দিত অবস্থান ইতিহাসে স্বীকৃত।

আরবি/জেডআর

Link copied!