চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির নেতাসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বুধবার চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আহতরা হলেন-ওই গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমাতউল্লাহ শেখ (৪৩), আমির হোসেনের ছেলে মুক্তার আলী (৫৫), তার স্ত্রী মিস্রি খাতুন (৪৭), তার ছেলে মারুফ হোসেন (৩০), মৃত সুবারদ্দীনের শেখের ছেলে ও আবুল মন্ডলের ছেলে বসির আলী (৩৫), আইয়ুব আলীর ছেলে এশার আলী (৪৫) ও তোফাজ্জেলের ছেলে আকালে মন্ডল (৫০)।
নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের তানজিল অভিযোগ করে বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। সেই সময় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন
মিয়া আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। এর কারণে বেশ কিছুদিন বাড়িতে ছিলাম না।
আরও বলেন, আমি শংকরচন্ড ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটরের কর্মরত থাকায় চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার ভয়ভীতি দেখাতো ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার রাতে ইউপি সদস্যের সঙ্গে দেখা হলে আমার সঙ্গে বাগবিতন্ডায় সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে মারধর করেন। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা ইউপি সদস্যের নিকট আমাকে মারধরের কারণ জানতে গেলে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমরা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ছিলাম। এতে আমার পরিবারের সাত জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে বুধবার মামলা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :