রিসোর্টের কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে মগ্ন ছিলেন অন্তত ৮ জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকে। তারা নিশ্চিন্তে তার কার্যকলাপ চালিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু বেরসিক এলাকাবাসী তাদের মধুর সময়ে বাঁধ সাধলেন। কথা ছিল খানিক সময় পরে ছেলে-মেয়েরা রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে যার যার পথে চলে যাবেন। তারা আর আলাদা আলাদা যেতে পারলেন না। কারও অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সমঝিয়ে দেয়া হলো। কারও বা অভিভাবকদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে পুলিশের মাধ্যমে ছাড়া হলো। তবে তাঁর আগে তাদের প্রত্যেককে দেয়া হয় বিয়ে। রীতিমতো কাজি এনে, কবুল পড়িয়ে ছাড়া হয়। প্রত্যকের জন্য দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ লাখ টাকা!
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানায় অবস্থিত রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ১৬ জন ছেলে-মেয়েকে প্রথমে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সামাজিকভাবি বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সাক্ষী ছিল মোগলাবাজার থানা পুলিশ।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এখানে ১৬ জন ছেয়ে-মেয়েকে রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষে অসামাজিক কাজরত অবস্থায় আটক করেন স্থানীয়রা। পরে এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দেন। আটক কাপলরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে রিসোর্টে উঠলেও কেউই তাদের বিয়ের প্রমাণ দিতে পারেনি। স্থানীয় মুরব্বিরা অভিভাবকদের এনে তাদের সামনে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পড়িয়ে দেন।
পুলিশ জানায়, আটক ছেলে-মেয়েরা সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারের বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্কে শুরু থেকেই অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এটি নামে পার্ক হলেও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্রামের কক্ষ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। এ সুযোগে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।
এরকমই রোববার ১৯ জানুয়ারি দিন-দুপুরে অন্তত ১৬ ছেলে-মেয়ে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালাতে থাকেন। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন। আটকদের ছেলে-মেয়েদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মোগলাবাজার থানাপুলিশ। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পুলিশ আর কোনো আইনি ব্যব্স্থায় যায়নি। তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :