ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সংঘাত নিরসনে শান্তি সমাবেশ

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সংঘাত নিরসনে শান্তি সমাবেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই ইউনিয়নে গত কয়েকমাস ধরে চলমান সংঘাত, হামলাসহ অস্থিরতা নিরসনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের উদ্যোগে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে রবিবার সকালে আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নানা শ্রেনী পেশার শত শত নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মাঠে এসে উপস্থিত হয়।

পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখর সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে আমরাও গভীরভাবে শোকাহত। তার
মৃত্যুর পরে পুলিশ প্রশাসন সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কিন্তু তার পরেও এলাকার একদল স্বার্থন্বেষী মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছেন। তারা আমার অনুসারী ইউনিয়নের বিভিন্ন লোকের উপর এবং বসতবাড়িতে অমানবিক হামলা ভাংচুর চালিয়ে যে পরিবেশ তৈরি করেছেন সেটা মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্মমতাকেও হার মানিয়েছে। এই ইউনিয়নে আমরা হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই আমাদের মধ্যে কোন সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। যারা এই
ইউনিয়নকে দ্বন্দ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে তাদেরকে বর্জন করার জন্য উপস্থিতিদের প্রতি আহবান জানান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। একই সাথে তিনি ইউনিয়নের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকার প্রসংসা করে ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান।

সমাবেশে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মো. হাফিজুর রহমান, ধীরেণ সিকদার, এ্যাড. মো. মিরাজুল ইসলাম, মাহমুদকাঠি বাজার সমিতির সভাপতি হাজ্বী মো. সাদেক আলী, সমাজ সেবক আব্দুল হালিম ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আল মামুন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শান্তি সমাবশে থেকে ফেরার পথে কুড়িয়ানা বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান শেখর সিকদারের অনুসারী স্বপন দেউরী, সজল সিকদার, মনমথ শীল ও সংগ্রাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে কিছু লোকজন শান্তি সমাবেশে যোগ দেয়া নারী পুরুষের উপর হামলা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

 

Link copied!