ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

আ.লীগ নেতাদের দখলে থাকা জলাশয় উন্মুক্তের দাবি গ্রামবাসীর

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

আ.লীগ নেতাদের দখলে থাকা জলাশয় উন্মুক্তের দাবি গ্রামবাসীর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গগনবাড়িয়া ও চুনিয়াপাড়া গ্রাম সংলগ্ন দুই শতীনা নামক একটি খাস জলাশয় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আওয়ামী প্রভাবশালীদের জবরদখলের প্রতিবাদে ও উন্মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ওই জলাশয়ের সামনে গ্রামের শতাধিক মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে, জলাশয়টি দখল মুক্ত করে কৃষকদের স্বার্থে আজীবন উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান।

গ্রামবাসীরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ কৃষক এই বিল থেকে পানি সেচ ও ধানের মৌসুমে ইরিবোরো বীজ রোপন করতে পারছি না। এখানে গগনবাড়িয়া গ্রামের খাস জমি আছে ১০ বিঘা আর সাধারণ মানুষের জমি আছে প্রায় ১০ বিঘা। এই মোট ২০ বিঘা জমি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে রেখেছে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনির কয়েকজন। যাদের মধ্যে অন্যতম আনিসুর রহমান, সাহিনুর রহমান, বদর সরদার ও রুস্তুম আলী।

ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, জলাশয়ের পাশে আমার দলিল ভুক্ত ১৭ শতাংশ জমি জোর করে দখল করেছে তারা। সেই সঙ্গে স্থানীয়দেরও দলিল ভুক্ত ১০ বিঘা জমি দখলে করেন।

তিনি বলেন, কৌশল করে বিঘা প্রতি কিছু টাকা দিবো বলে সাদা কাগজে আমাদের থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে টাকা চাইতে গেলে আজ দিবো, কাল দিবো বলে ঘোরাতে থাকে। তারা নিজেদের আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুল ওয়াদুর দারার সমর্থক বলে পরিচয় দেয়।

জলাশয়ের পাশেই বাড়ি মোতালেব হোসেনের। দীর্ঘদিন থেকে এখানেই পৈত্রিক ভিটায় বসবাস তার। তিনি বলেন, আমার জায়গা জমি নাই। এই বাড়িটাই শেষ সম্বল। দিনে দিনে আমার জমি ভাঙতে শুরু করে দখলদাররা। কিন্ত আমি টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে ঘোরায়। শুধু তাই নয়, আমাকে নানা হুমকি-ধামকি দেয় তারা।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১ মাস পরে আমাকে কিছু টাকা দিয়ে গেছে তারা। তবে আমি চাই এই জায়গা দখল মুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাহিনুর রহমানের মুঠোফনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন মুঠোফোনে জানান, হঠাৎ করে বিস্তারিত বলা সম্ভব না। এই জলাশয় একেক সময় একেক জনের দখলে ছিল। আমি তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

আরবি/এফআই

Link copied!