চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে দিন দুপুরে একটি পোল্ট্রি খামার ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব কোলাগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পোল্ট্রি খামারে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে কোলাগাঁও ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর আলমের নেতৃত্ব তার ভাই, তাদের স্ত্রীরাসহ বহিরাগত আরো অন্তত ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় খামারে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে লেয়ার মুরগীসহ আরো অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনাটির একটি ভিডিও ফুটেজ বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর চারদিকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারের মালিক ব্যবসায়ী আবু সিদ্দিক আওয়ামী লীগ নেতার পরিকল্পিত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে।
পটিয়া থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে খামার মালিক আবু সিদ্দিক উল্লেখ করেছেন, বিবাদী আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা জুলুমবাজ, দাঙ্গাবাজ, নির্যাতনকারী, ঝগড়াটে ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি ঘটনার স্থলে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে একটি লেয়ার মুরগির খামার পরিচালনা করে আসিতেছি। অভিযোগের ১নং বিবাদী বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের কোলাগাঁও ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি এলাকায় চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এখনো।
অন্যান্য বিবাদীগণও স্বৈরাচ্ছারী আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। বিবাদীগণ আমার কাছ থেকে কিছুদিন আগে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। এমনকি চাঁদা দিলে ব্যবসা করিতে পারব, না দিলে ব্যবসা করতে পারবনা এবং খামার ভেঙ্গে দিবে এবং খামারের মুরগি আসবাবপত্রসহ নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করেছে। আমি তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের স্ত্রীসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন লোক সহ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার সময় ঘটনার স্থলে উপস্থিত হয়ে রামদা, চাইনিস কুড়াল, লাঠি, দা, ধরালো ছুরি ও লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার খামারে অনাধিকার প্রবেশ পূর্বক সমস্ত লেয়ার মুরগি ও খামারের মুরগির খাঁচা, খাদ্য, অন্যান্য সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং মুরগির খামারটি ভাংচুর করে সম্পূর্ণ তচনছ করে ফেলে। খামারে মুরগির সংখ্যা ছিল ২৫০ পিস যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। খামারের খাঁচা, খাদ্য ও সরঞ্জামাদির আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা। খামারটি ভাংচুরে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সর্বমোট ক্ষতির পরিমাণ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, পোল্ট্রি খামার ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :