মো. আবদুল কুদ্দুস, বয়স ৭০। কৃষি বিভাগে অফিস সহকারী হিসাবে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর থেকেই শখের বশে তিনি বড়শি দিয়ে ১৩ বছর ধরে মাছ শিকার করছেন।
মাছ ধরা তার পেশা নয়, নেশা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে বড়শির ছিপ ফেলে তিনি ১৩ বছর ধরে মাছ শিকার করছেন। প্রতিদিন সকালে বড়শির ছিপ নিয়ে বের হয়ে দুপুরে বাড়ি ফিরে আসেন।
আবদুল কুদ্দুস উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের লোহিতপুর গ্রামের মৃত আবাল হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় হাটশিরা বাজার সংলগ্ন পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে দেখা যায় আবদুল কুদ্দুস নদের পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। বড়শির ছিপ ফেলে মাছের অপেক্ষা করছেন তিনি। মনোযোগ দিয়ে তিনি ফাঁদ কাঠির (নলই) দিকে তাকিয়ে আছেন।
আবদুল কুদ্দুস বলেন, মানুষের বিভিন্ন শখ বা ইচ্ছে থাকে। আমার শখ মাছ ধরা। মাছ শিকার করা আমার পেশা নয়, শৈশব থেকেই মাছ শিকারের প্রতি একপ্রকার নেশা অনুভব করি। যে নেশা প্রতিমূহুর্তে আমাকে বিমোহিত করে। সেই নেশা থেকেই আমি বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করি।
তিনি বলেন, চাকরি শেষে বরশি দিয়ে মাছ শিকার করে আমার সময় কাটে। প্রতিদিন মাছ শিকার যাই হোকনা কেন তবু মাছ শিকার করতে আসি। অনেক আনন্দ লাগে। তাই প্রতিদিন বরশি দিয়ে মাছ শিকার করি।
আবদুল কুদ্দুসের কাছে গিয়ে দেখা গেল মাছ শিকারের জন্য পিঁপড়ার ডিম ও ময়দা রয়েছে। পিঁপড়ার ডিম ও ময়দায় বেশী মাছ ধরে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় লোহিতপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাইজ উদ্দিন বলেন, আবদুল কুদ্দুস ভাই ১৩ বছর ধরে মাছ শিকার করছেন। প্রতিদিন তিনি সকালে ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাছ শিকার করতে যান।
স্থানীয় শিক্ষক এনামুল কবির বলেন, চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকেই কুদ্দুস ভাই বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এটি তার নেশা।
আবদুল কুদ্দুসের বড় ছেলে কাজল জানান, চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকেই আব্বা মাছ শিকার করছেন। মাছ ধরার মধ্যে আব্বা অনেক আনন্দ পান। আমাদের পরিবারের কেউ কখনো মাছ শিকার করতে বাঁধা দেননা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আবদুল কুদ্দুস প্রায় ১ যুগ ধরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। তিনি নেশা হিসাবেই মাছ শিকার করেন। এটি এলাকাজুড়ে বেশ আলোচিত।
আপনার মতামত লিখুন :