বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন এম এ জেড অভিক। এক সময় চাকরি ছেড়ে শুরু করেন চাষাবাদ। এখন মন দিয়েছেন ড্রাগন চাষে। তার বাগানে গেলে গাছে গাছে ঝুলতে থাকা ড্রাগন ফল আর অভিকের মুখের হাসিই
আপনাকে বলে দেবে চাকরি ছেড়ে মোটেই ভুল করেননি এই যুবক। অভিক রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের প্রয়াত জননেতা আফসার আলীর ছেলে। প্রায় এক একর জমিতে ভিয়েতনামি জাতের ৪ হাজার ৫’শ টি লাল রঙের বিদেশি ড্রাগন ফল চাষ করেন। খেত থেকে এ মৌসুমেই অন্তত তিন লাখ টাকা লাভের আশা করছেন এই যুবক।
অভিকের ড্রাগন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে ঝুলছে প্রচুর পরিমাণ ড্রাগনফল ও ফুল। এ কারণে প্রতিদিন ড্রাগন তুলতে হচ্ছে। আকারে অনেক বড়। প্রতিদিন অনেকেই আসছেন তার ড্রাগন বাগান দেখতে। চার জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে তার বাগানে।
কৃষক উদ্যোক্তা অভিক জানান, ড্রাগনের স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও বিশেষ কয়েকটি ভিটামিন রয়েছে এ বিদেশী ফলে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ড্রাগন চাষের জন্য কাটিং, রোপণ, খুঁটি লাগানো, জিআই তার ও পরিচর্যা সহ
আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। রোপনের এক বছরের মধ্যে তিন লাখ টাকা উঠে এসেছে। যত দিন যাবে তত বেশি ফলন বেশি হবে, সামনে বছরে ১০ লক্ষ টাকার মতো ড্রাগন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় আগামীতে আরো পাঁচ একর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষক উদ্যোক্তা অভিক লেখাপড়া শেষে চাকরি করছিলেন। চাকরি ছেড়ে কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন। তিনি ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষিকাজে শিক্ষিতরা এগিয়ে এলে কৃষি এগোবে, দেশ সমৃদ্ধ হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :