কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় দুই মাদককারবারিকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার এবং আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রোববার (৫ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজার এলাকার হাফিজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ সময় পুলিশ ১ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবাসহ হাফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তারকে আটক করে। এবং তাদেরকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে আসার সময় বাবুর হাট বাজারে পৌছামাত্র মাদক ব্যবসায়ীর বড় ভাই আশরাফুল ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি পুলিশের গাড়ী আটক করে গ্রেপ্তারকৃত মাদককারবারীদের হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশের যৌথ টিম আবারও অভিযান চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় একই ইউনিয়নের হুচার বালা গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র আনোয়ার হোসেন ওরফে আরিফ(৩২) ও তার পিতা মো. আব্দুস ছালামকে (৫০) গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে সোমবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা পুলিশ, ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ টিম আবারও অভিযান চালিয়ে আরাজি পাইকডাঙ্গা গ্রামের সন্দেহভাজন মৃত তফের আলী (৫০), এরশাদুল আলম (৪০) ও হাসিনা আক্তার (২৮) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। অপরদিকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে থানা পুলিশের এসআই আরিফ মাহমুদ আপেল, এএসআই আলমগীর হোসেন, কনস্টেবল সবুজ চন্দ্ররায়, বিনয়চন্দ্র বর্মণ, শফিউল্লাহ ও মিজানুর রহমানকে রাতেই কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার (ওসি) মুনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে অভিযানে থাকা ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :