ঢাকা সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

আ.লীগের ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম

আ.লীগের ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিএনপির শান্তি মিছিলে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বরিশালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা করা হয়েছে।  মামলায় শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হয়।  আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদেরসহ ৯০০ আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।  গত দুই মাসে সারাদেশে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

উল্লেখযোগ্যরা আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম, বরিশালের সাবেক দুই সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ও সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহের অপর দুই ছেলে মঈন আব্দুল্লাহ এবং আশিক আব্দুল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। সেই এজাহারটি এক মাস ১০দিন পর গতকাল রবিবার (২০ অক্টোবর) মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।  কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা নম্বও ৩১/২৪। থানায় মামলা রুজুতে সময় ক্ষেপনের কারণে জিয়াউদ্দিন সিকদার আদালতের সরনাপন্ন হয়েছিলেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর রাতে এজাহারটি থানায় দাখিল করা হয়েছিল। সেই এজাহারে কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। তাছাড়া মামলাটিতে অনেক আসামি থাকায় তাদের বিষয়ে তদন্ত করে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এই কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।

মামলায় শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি। এছাড়াও মামলায় ৫০৪ জনকে এজাহারনামিও এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১নং আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিতেন। তার হুকুমে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে নগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করত তারা।

সাধারণ মানুষ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের কোনো প্রতিবাদ করলেই অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। ঘটনার পূর্ব থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য মামলার ১নং আসামি শেখ হাসিনার হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপির শান্তি মিছিলে আসামিরা হামলা করে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির শোক র‌্যালি কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা দেওয়া এজাহারে নামধারী ৫০৪ জনের বাহিরে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০ জনকে আসামি করার কথা রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টাসহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের ধারাও উল্লেখ রয়েছে এজাহারে।

আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকসহ কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে-পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়াও এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, মোবাইল ফোন এবং লাখ টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

আরবি/জেআই

Link copied!