গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কথিত আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে কিছু জায়গা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ জায়গা এখনো পর্যন্ত নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। দখলকৃত জায়গাগুলোর উদ্ধার ও ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী চন্দনা রাণী বর্মন। সোমবার ৯ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাফাশ্রী আদালত পাড়া এলাকায় ভুক্তভোগীরা তাঁদের জমিতে একত্রিত হয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
জবর দখলকারী অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাখাওয়াত হোসেন ও তুলিব গং। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাপাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোতাহার হাজী`র ছেলে। এ ছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।
ভুক্তভোগী চন্দনা রানী বর্মন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানীয় সাখাওয়াত হোসেন ও তুলিব গং জমির প্রকৃত মালিক চন্দনা রানী বর্মন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এ জায়গাটি দলীয় প্রভাব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ দখল করে রেখেছেন । এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কোনো সদস্য প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন তিনি। অভিযুক্ত চন্দনা রানী বর্মনের কিছু জায়গা ক্রয় মূলে ৬ মাসের চুক্তিনামা করেন সাখাওয়াত গংরা। চুক্তির সময় শেষ হলেও তারা জমি রেজেষ্ট্রি করে না নিয়ে কালখেপন করে পুরো জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে।
এ ছাড়াও তাকে বিভিন্ন সময় সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে জায়গার সমস্যাটি নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভূক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন আনীত অভিযোগে জবর দখলে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, তার ও তার পরিবার ও তুলিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। চন্দনা রাণীর আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে দেশে প্রচলিত আইনে যে শাস্তি হয় তা মাথা পেতে নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :