নেত্রকোণার পূর্বধলায় বিএনপি নেতা এরশাদ আলী খন্দকার হত্যা মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত এরশাদ আলী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও নরনায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
হত্যা মামলাটিতে সাবেক সাংসদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান দুই ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাংসদের দুই ব্যক্তিগত সহকারীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বেলায়েত হোসেন খান (৭০) উপজেলার ইয়ারন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বেলায়েত হোসেন খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে সাবেক সাংসদসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, নেত্রকোনা ৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক (৭০), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন (৪৮), শফিকুল ইসলাম শফিক (৪৫), মাসুদ আলম টিপু (৫৫), কমল সরকার (৫০), হাসান (৫০), নূরুল আমিন (৫০), আব্দুল কুদ্দুছ বেপারী (৫৫), মো. খোকন মিয়া (৪৫), শাহজাহান কবীর (৪৪), ইসলাম উদ্দিন (৫৭), সাহজাত হোসেন সাজ্জাত (৫৯), জাহাঙ্গীর (৩৫), মো. আল উছমান বেপারী (৬৯), মো. রফি বেপারী (৪০), রমজান (৪০), সজুত খান (৫০), লাল মিয়া (৫২), ফেরদৌস (৪০), এবং উজ্জ্বল (৪০)।
২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকালে পূর্বধলার নারান্দিয়ায় দলীয় বিরোধের জের ধরে নিজ গ্রামে জনৈক রতন খন্দকারের বাড়ির সামনে এই মামলার আসামিরা এরশাদ আলী খন্দকারকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান এরশাদ আলী খন্দকার।
আপনার মতামত লিখুন :