রাঙামাটি জেলার লংগদুতে কৃষকলীগ নেতা কবির ও শুক্কুর কৃষকদের নামে বেনামে ব্যাংক লোন নিয়ে উধাও, বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আটারকছড়া ইয়ারংছড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভুক্তভোগিরা মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক কৃষক অংশ গ্রহন করে। দুর্গম রাঙামাটির পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলায় সাধারণ কৃষকদের সাথে প্রতারণা করে কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে লাপাত্তা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল শুক্কুর।
লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের শতাধিক কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে,তাদের নামে ৩৫ হাজার টাকা করে ব্যাংক লোন উত্তোলন করে কৃষকদের হাতে মাত্র দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। বাকি ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা এই কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতারা। গত ৫ আগস্টের পর এলাকা ছাড়া তারা। বর্তমানে এসব লোনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কোটি টাকার দ্বারপ্রান্তে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগিরা নিজেদের নামে ব্যাংক থেকে নোটিশ আসার পর জানতে পারে তাদের নামে ৮০-১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন রয়েছে। এসব শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া দিন মুজুর ও গরীব অসহায় মানুষ গুলো। ভুক্তভোগিদের দাবি দ্রুত এর মুল হোতাদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং জালিয়াতি করে তাদের নামে উত্তোলনকৃত লোন দ্রæত বাতিল করতে হবে। তাদের বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমাও বিভিন্ন দালাল দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এর আগেও গতবছর সোনালী ব্যাংক লংগদু শাখার ব্যাংক জালিয়াতির কবলে পড়ে প্রায় ৬ শতাধিক সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমা বক্তব্য দিতে নারাজ। সাংবাদিকরা অফিসে গেলে তিনি সাংবাদিকদের পাত্তা না দিয়ে নিজের শিশু সন্তানকে নিয়েই খেলাধুলায় ব্যস্ততা দেখান। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাড়ি পাঠাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের রেখে অফিস ত্যাগ করেন। এবিষয়ে জানতে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বিটন চাকমাকে ফেঅন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলছে এই ম্যানেজার একজন দুর্নীতিবাজ।
লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়ন দক্ষিণ ইয়ারিংছড়ি ৪নং ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার ছেলে কবির আটারকছড়া ইউনিয়নের কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। আটারকছড়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আটারকছড়া ইউনিয়ন দক্ষিণ ইয়ারিংছড়ি আমিনুল ইসলাম ছেলে আবুল হাসেম ও আটারকছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আইয়ুব মুন্সির ছেলে শুক্কুর আলী।
আপনার মতামত লিখুন :