ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

৩০ হাজার টাকা বেতনের ভূমি কর্মকর্তার কোটি টাকার আলিশান বাড়ি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

৩০ হাজার টাকা বেতনের ভূমি কর্মকর্তার কোটি টাকার আলিশান বাড়ি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঘুষ আর দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক । গড়েছে একটি আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি। মানিকগঞ্জ শহরের পাশে কিনেছেন কোটি টাকার জমি। তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার আয়ের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য রয়েছে সম্পদের।

জানা যায়, ২০০৩ সালে উপ সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন রাকিব হোসেন (রুস্তম)। এরপর তিনি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি সরকারি দপ্তরের নেমপ্লেট ব্যবহার করে অবৈধপন্থায় রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। তিনি হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের আরমান মোল্লার ছেলে। তার বাবা অসুস্থ ছিলেন বেকার। টানাটানি সংসার ছিলো তাদের। চাকরি পাওয়া পর যেন হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ সেই চেরাগ ঘষেই বনে গেছেন কোটি টাকার মালিক। টাকার লোভ দেখিয়ে নিজের আপন চাচাতো ভাইয়ের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র নায়েব বলেন, রাকিব ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি বর্তমানে ৩০ হাজার বা এর চেয়ে একটু বেশি বেতন পেতে পারে। তবে এই পদে চাকরি করে দুইতলা বাড়ি আর মানিকগঞ্জ শহরে জায়গা কেনা সম্ভব না। তার হয়তো অন্য কোন ব্যবসা বানিজ্য থাকতে পারে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিবর্গ জানান, রাকিবের বাবা ছিলেন সাধারণ একজন কৃষক। ২০০৩ সালে তিনি ভূমি অফিসে চাকরি নেয়ার পর থেকে তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। রাতারাতি হয়ে যান কোটিপতি। আমরা শুনেছি রাকিব নাকি ভূমি অফিসের অনেক বড় কর্মকর্তা। টাকা পয়সার মালিক হওয়ার সাথে সাথে রাকিবের চরিত্রও বদলে যায়। রাকিব তার আপন চাচতো ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া করে ভাগিয়ে নিয়ে করেন দ্বিতীয় বিয়ে।

রাকিব হোসেন (রুস্তমের) বাবা আরমান মোল্লা বলেন, ঢাকায় কিছুদিন আমি চাকরি করেছি। এরপর আমার কানে সমস্যা হওয়ার কারণে এলাকায় চলে আসি। 

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ সহকারী রাকিব হোসেন বলেন, আমি ২০০৩ সালে উপ সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করি। এরপর নানা জটিলতায় আর প্রমোশন হয়নি। তার বাড়ি আর সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ।

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লিখিত অভিযোগ না পেলে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন এই ভূমিক কর্মকর্তা।

আরবি/জেডআর

Link copied!