ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল কার্যক্রম স্থগিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল কার্যক্রম স্থগিত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

হবিগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে হবিগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের একমত বিনিময় সভার আহ্বান করা হয়। কিন্তু হবিগঞ্জের সমন্বয়কদের মধ্যে স্থান নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। মতবিনিময় সভা স্থান  নিয়ে হবিগঞ্জের সমন্বয়করা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তারা পৃথক স্থানে মতবিনিময় সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক গ্রুপের সভাস্থল সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের চেয়ার ভাংচুর করা হয়। আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৈষম্য বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতারা পৌরসভা মাঠে সভা করার সিদ্ধান্ত দেন।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সুসংগঠিত করে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আজ হবিগঞ্জে এক মতবিনিময় সভা আহবান করা হয়। এ নিয়ে হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে এবং অপর পক্ষ সাইফুর রহমান টাউন হলে  সভা আহ্বান করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের অপেক্ষায় দু’পক্ষ দুটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে একপক্ষ উপজেলা পরিষদ হলরুমে গিয়ে চেয়ার ভাংচুর করে। পরে সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম, আসদুল আল গালিব, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আশরাফুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আজাদ শিকদার ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সমন্বয়করা দু’পক্ষের তৃতীয় স্থান হিসেবে পৌরসভা মাঠে সভা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমের আয়োজকরা।

রং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে এ থেকে সরে দাঁড়িয়ে যেকোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব হলে তা রুখে দেয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক মাহদী হাসান ও আশরাফুল ইসলাম সুজন।

সমন্বয়ক মাহদী হাসান জানান, সভাস্থলে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে তিনি এবং অপর সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম সুজন হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এবং তারা হবিগঞ্জে সংগঠনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। তবে যদি আবারও কোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয় তা প্রতিহত করতে আবারও আন্দোলনে শরিক হবেন বলে তিনি জানান ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!