বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম

অবৈধভাবে কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম

অবৈধভাবে কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ ভবনের পেছনে পুকুর পাড়ের দুটি গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই এ গাছ কেটেছেন বলে দাবি করেছেন ওই পুকুর দখলে থাকা মতিউর রহমানের ছেলে শিহাব রহমান ও স্থানীয়রা। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই ছেলেকে তিনি আগে কখনো দেখেননি।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের পেছনের পুকুর ও পাড়ের জায়গার মালিক কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে সেটি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে ভোগ দখল করছেন জিতারপুর গ্রামের মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি। 

মতিউরের ছেলে শিহাব রহমান বলেন, আমি জানি এই জায়গার মালিক আমরা, আমাদের কাগজপত্রও আছে, তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে এটা তাদের জায়গা। আমার বাবা ১০/১২ দিন আগে মারা যায়। বাবার মিলাদ মাহফিলের জন্য কিছু অর্থ সাহায্যের জন্য অধ্যক্ষের কাছে গেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেন যে, পুকুরের কাছে গাছ আছে সেই গাছ কেটে মিলাদ পার করো। অর্ধেক নিয়ে যাও, আর অর্ধেক কলেজে দিয়ে যাও। পরে রবিবার আমার লোক গাছ কাটতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক ও ইউনিয়ন পরিষদ বাঁধা দেয়। এরপর কাটা গাছগুলো সেখানেই আছে। এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতে পরতে হবে জানলে আমি গাছ কাটতাম না।

জিতারপুর গ্রামের ফরিদ বলেন, আমরা জানি পুকুরের অর্ধেক জায়গা মতিউর কিনেছিলেন, আর অর্ধেক কলেজের ছিল। গাছ কাটার জায়গা কার সেটা সঠিক জানিনা। মতিউর মারা যাওয়ায় তার ছেলে অর্থ সংকটে অধ্যক্ষের থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছে এমনটাই শুনেছি। 

কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমাকে ঘটনার সময় প্রিন্সিপাল মেডাম ফোন করে বলেন, কে বা কারা গাছ কাটছে তুমি গিয়ে বন্ধ করে দাও। আমি সেখানে গিয়ে যারা গাছ কাটছিল তাদের সাথে প্রিন্সিপাল মেডামের ফোন ধরিয়ে দিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেই। পরে জানতে পারি মতিউরের ছেলে গাছ কাটার জন্য শ্রমিক পাঠিয়েছিল। 

কলেজের অধ্যক্ষ মারুফা মন্ডল বলেন, কলেজ সংলগ্ন যে পুকুরটি আছে, সেটি কলেজের মালিকানাধীন। মতিউর দীর্ঘদিন ধরে সেটি দখল করে রেখেছে। তার ছেলে বলেছে আমার সাথে কথা বলে গাছ কেটেছে, তার সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি, কথাও হয়নি, এমনকি তাকে আমি চিনিওনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি কলেজের কয়েকজনকে ফোন করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেই। পরে বিষয়টি এডিএম মহোদয়কে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অধ্যক্ষ বিষয়টি আমাকে জানান। সেই গাছগুলো সেখানেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!