ঢাকা শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, রাজশাহী কর্তৃক নির্ধারিত ফি‍‍`র চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত, ছাত্রছাত্রীদের সাথে  খারাপ আচরন করাসহ একাধিক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার গোপন নিয়োগ বাণিজ্য করে বিদ্যালয়টির কোন উন্নয়ন কাজ না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত ও পদত্যাগ চেয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলার মালিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ছাত্র ছাত্রীগন  অভিযোগ  দেয়ার আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে।

অভিযোগে জানা যায়, ঐ বিদ্যালয়টিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী কর্তৃক নির্ধাররিত ৮ম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন ফি ১৪৫ এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন ফি ৫৮ টাকা হলেও প্রধান শিক্ষক ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট থেকে ৫৫০ টাকা করে আদায় করেন। ছাত্র/ছাত্রীরা রেজিষ্ট্রেশনের অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এছাড়াও একটি শ্রেণি কক্ষের ভিতর টিনের বেড়া দিয়ে দুটি ক্লাশ রুম তৈরি করে পাঠদান করেন। বিদ্যালয়টিতে শ্রেণি কক্ষ সংকট, ছাত্রীদের কমন রুম, আইসিটি ও বিজ্ঞানাগারের কোন রুম নেই।

শুধু তাই নয় বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক নিজের স্ত্রী, ভাই, ভাতিজা কে চাকুরী দিয়ে নিজের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একারণে বিদ্যালয়ে কোন অনিয়মের  কথা বললেই  প্রধান শিক্ষক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে  চান ।

একারণে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে সেগুলো আদৌ ঠিক নয়। এলাকার কিছু দূস্কৃতিকারী ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাছিলের ছাত্র/ছাত্রীদের উস্কে দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। আর অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে অতিরিক্ত কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে, ছাত্র ছাত্রীরা চাইলে তা ফেরত দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়া হবে ।

আরবি/জেডআর

Link copied!