জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদের মাধ্যমে চাকরির নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুসুমসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুসুমসাড়া গ্রামে মৃত ছামছদ্দিনের ছেলে মেহেদি হাসান রাঘবপুর চৌমূহনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছেন। তবে অষ্টম শ্রেণি পাশের জাল সনদ দেখিয়ে কুসুমসাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদকে আট লাখ টাকা দিয়ে চাকুরি করেছেন বলে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা।
জানতে চাইলে জাল সনদে চাকরির নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদি হাসান জানান, জাল সনদ নয়, আসল সনদ দিয়ে তিনি চাকুরি করছেন। সে ওই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্য়ন্ত লেখাপড়া করেছেন।
রাঘবপুর চৌমূহনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকতারুজ্জামান জানান, সে তার স্কুলের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী নয়। তার সীল জাল করে অষ্টম শ্রেশি পাশের সনদ তৈরি করেছেন।
কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষযে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :