ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

দৌলৎগঞ্জ ও দর্শনা স্থলবন্দর গেজেট ভুক্ত হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

দৌলৎগঞ্জ ও দর্শনা স্থলবন্দর গেজেট ভুক্ত হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গা: দীর্ঘ দিনেও শুরু হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলার দুটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম। চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর দৌলৎগঞ্জ ও দর্শনা স্থলবন্দর দুটি গেজেট ভুক্ত হওয়ার পর থেকে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে । স্থলবন্দর দুটি চালু হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ও মানুষের জীবনমান। ব্যবসায়ীরাও দ্রুত সময়ে ভারতে থেকে পণ্য আমদানী করতে পারবে দেশে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। ২০২২ সালের ২৪ ফ্রেবুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নতুন করে গেজেটভুক্ত করে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর ও জীবননগর দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দর দুটি। গেজেটভুক্ত হওয়ার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো, লোকবলসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরুর জন্য উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। দ্রুত সময়ে বন্দর দুটি চালু হলে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম সহজ হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের অংশে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া এবং দর্শনা-গেঁদে স্থলবন্দর।

বন্দর চালু হলে এ এলাকার মানুষের নতুন কর্মস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হবে। দেশের অন্য বন্দর গুলোর থেকে এ দুটি বন্দর দিয়ে সহজে ভারত থেকে পণ্য আমদানী করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানীতে ব্যায় ও সময় কম লাগবে। স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে দুই দেশ একমত পোষন করলেই তা বাস্তবায়ন সম্ভব। বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রি ও সচিবরা চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ ও দর্শনা স্থলবন্দর দুটি একাধীকবার পরিদর্শন করলেও স্থলবন্দরের কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি।এলাকার সাধারন মানুষের দাবী অন্তবর্তীনকালিন সরকারের প্রধান যদি একটু নজর দেন তা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি বন্দরের যে কোন একটি স্থলবন্দর বাস্তবায়ন হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।

জীবননগর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী মো. খোকন মিয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রস্তাবিত দুটি স্থলবন্দরের মধ্যে যে কোন একটি চালু হলে আমরা যারা ভারত থেকে চাউল নিয়ে আসি তাদের জন্য অনেক উপকার হবে অল্প খরচে আমরা মালামাল আনতে পারবো এবং বন্দর দুটির যে কোন একটি চালু হলে এ এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা আরো ভাল হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রস্তাবিত দুটি স্থলবন্ধরের কার্যক্রম গুলো চলমান অবস্থায় আছে তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দর্শনা স্থলবন্দরের জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্ণ করার জন্য পরিদর্শন করেছে। কিন্তু জীবননগর দৌলৎগঞ্জ বন্দরের কার্যক্রম থমকে আছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!