বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাচ্ছেন। সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবকটি উপজেলায় আমিরে জামায়াতকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এর আগে, গতকাল রোববার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয় করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা শহরের টেংকেরপাড় এলাকায় জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুমসহ কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃব্য রাখবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা নায়েবে আমির কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন ও শিবিরের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশত গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেয়। সভায় লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরকে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অনিবার্য গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি।
জামায়াতের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর পর নির্বিঘ্নে কর্মী সম্মেলনের প্রস্তুতি ও আমিরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আলোচনা চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের সাধারণ জনতার মাঝেও।
আপনার মতামত লিখুন :