রাঙামাটি আদালতে আওয়ামী পন্থী পিপি,এপিপি এবং নবগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে বিতর্কিত সদস্য নিয়োগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে রাঙামাটি জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেলা দায়রা ও জজ আদালতের প্রধান গেইটে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়।
সংগঠনটি অভিযোগ করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন বাংলাদেশে আরেকবার স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও জনগণের দাবি উপেক্ষা করে, ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের অগ্রহণযোগ্য ও অপরিচিত ব্যক্তিদের রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি, এপিপি এবং পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। শিক্ষার্থীদের গায়ের তাজা রক্তে আজ জাতি ফ্যাসিষ্ট সরকারের নির্যাতন, অন্যায় জুলুম থেকে জাতি রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু স্থানে এখনো তাদের দোসর রয়ে গেছে। জেলা পরিষ ও রাঙামাটি জেলা দায়রা ও জজ আদালতে ফের নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা জুলি চাকমা মো. রাকিব, মো. সাজিদ হোসেন, মোস্তফা কামাল রাজু, আবু আবরার আলভি, তুহিন হাসান, ইমাম হাসান, সাইদা ইসলাম ও তানভি আক্তারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বিদায় করেছে এদেশের ছাত্র-জনতা। কিন্তু ছাত্র-জনতাকে বাদ দিয়ে এবং তাদের সাথে সরকার কোন ধরনের আলাপ আলোচনা না করে গুরুত¦পূর্ণ সেক্টর ও জনগণের আকাংখার প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য নিয়োগ ও জেলা দায়রা ও জজ আদালতে পিপি ও এপিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২-১ জন ছাড়া বাকি সবাই বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগের দোসর। অবিলম্বে জেলা পরিষদে ও জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নিয়োগ বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে রাঙামাটির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
আপনার মতামত লিখুন :