বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম

ভান্ডারিয়ায় প্রথমিক বিদ্যালয়ে ৪ বছর পর সহকারী শিক্ষকের যোগদান

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম

ভান্ডারিয়ায় প্রথমিক বিদ্যালয়ে ৪ বছর পর সহকারী শিক্ষকের যোগদান

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ বছর পর সহকারী শিক্ষকের যোগদানের খবর পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের নাম মো. রেজাউল আহসান রাজু।

বুধবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক হিসাবে মো. রেজাউল আহসান রাজু ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট ভান্ডারিয়া উপজেলার ৭৮ নং বড় কানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম চাকুরীতে যোগদান করেন। এরপর বদলি হয়ে ২০১৯ সালে ১৭ জানুয়ারী ৬৭ নং নিজ ভান্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে পাঠদান করান। প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে অধিকতর পারদর্শি করার জন্য একটি আইসিটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষক মো: রেজাউল আহসান রাজু ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: নাছির উদ্দিন খলিফা এক প্রকার দলীয় বিবেচনায় আই.সি.টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসাবে রেজাউল আহসান রাজুকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষন ও পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে এক অফিস আদেশে নিদের্শ প্রদান করেন। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষন ও পরিচালনার দায়িত্বের আদেশ ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাতিল করে বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. অহিদুল ইসলাম শিক্ষক রেজাউল আহসান রাজুকে পুনরায় ৬৭ নং নিজ ভান্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার নির্দেশ দেন।

ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের আদেশ পেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন এবং ওই দিন থেকে ১ মাসের চিকিৎসা ছুটিতে গেছেন বলে ৬৭ নং নিজ ভান্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আ. রাজ্জাক জানিয়ে বলেন, শিক্ষক রাজু ডেপুটিশনে ছিলেন বিধায় সেখানে হাজিরা দিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করতো। স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, শিক্ষক রেজাউল আহসান রাজু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালনের নাম করে স্থানীয় আ.লীগের দলীয় কর্মকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি করে এবং রাজনীতির অতিরিক্ত ফায়দা হাসিল সহ একটি ইটভাটার দায়িত্বেও ছিলেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনেও ছিলেন উদাসীন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল আহসান রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ করতেন তিনি। তবে বর্তমানে আ.লীগের কোন কমিটিতে তার কোন পদ-পদবী নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. অহিদুল ইসলামের কাছে শিক্ষক রাজুর হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি, ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খবর তিনি ভালভাবে জানেন না। তবে, তিনি জানান, ওই প্রশিক্ষণ
কেন্দ্রে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের নিয়ে অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা হতো।

আরবি/জেডআর

Link copied!