বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রতিবন্ধী আতিকুর রহমান (২৮) বি,এ পাস করে নেই কোন কর্মসংস্থান। আতিকুর রহমান দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়া মহল্লার মো. আজাহার আলীর বড় ছেলে। প্রতিবন্ধী আতিকুরের পিতা পেশায় একজন ভ্যানচালক তার দুই ছেলে সহ পরিবারের মোট চারজন সদস্য। তার বড় ছেলে আতিকুর রহমান ১৯৯৬ সালে জন্ম গ্রহন করে। প্রতিবন্ধী আতিকুর ছোটবেলায় খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো।
লেখাপড়ার জন্য স্কুলে যাওয়ার পর হঠাৎ করে কিছু সময় পর থেকে তার প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হলে স্কুলের শিক্ষকেরা আতিকুর কে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার ট্রাইফয়েড জ্বর নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে সে আর চলাফেরা করতে পারেনা। তার পিতা ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্টে আতিকুরের চিকিৎসা চালিয়ে যায়।
এ অবস্থায় প্রতিবন্ধী আতিকুর ২০১৩ সালে দুপচাঁচিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেন।এরপর ২০১৫ সালে দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ২০২০ সালে একই কলেজ হতে বি,এ পাস করেন। আতিকুর রহমান প্রতিবন্ধী অবস্থায় দুপচাঁচিয়ায় সরকারি বিভিন্ন অফিস দপ্তরে তার কর্মসংস্থানের জন্য দীর্ঘদিন দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেছে কিন্তু তার কোন কর্মসংস্থান যোগাতে পারে নাই। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হলে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সংগে যোগাযোগ করে আতিকুরকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড এর ব্যবস্থা করে দেন। প্রতি তিন মাস পরপর প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করেন। কিন্তু প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আতিকুরের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। আতিকুর রহমানের বৃদ্ধ পিতা আজাহার হোসেন ভ্যান চালিয়ে পরিবার নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন।
আতিকুরের বাড়ীতে গিয়ে তার পিতা আজাহার এর সংঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার কোন জমিজমা এবং আর্থিক টাকা পয়সা কোন কিছু সঞ্চয় নেই,যা কিছু করছেন শুধু ভ্যান চালিয়ে। তার প্রতিবন্ধী বড় ছেলে আতিকুর খুব মেধাবী ছাত্র তাই বাড়িতে নিজেই ৩/৪টি ছাত্র পড়িয়ে কোন রকমে আমাদের সংসারে সাহায্য করে।
আতিকুরের পিতা বলেন, এর আগে অনেক মিডিয়ার ভাই এসেছিলে তারা আতিকুরের অবস্থা দেখে অনেক পত্রিকায় দিয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত ছেলে আতিকুরের কোন কর্মসংস্থান করে দিতে পারেনাই। আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী আতিকুর রহমানের জন্য থ্রি-হুইলার ব্যাটারী চালিত একটি অটো চার্জার গাড়ী দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :