নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গোড়াডুবা বিল পাহারাদার ব্যক্তিদের ওপর হামলার অভিযোগ ইউপি সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন বিশ্বাসসহ তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোমবার ভুক্তভোগীর পক্ষে মো. পাছু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনাটি রোববার বিকেলে উপজেলার বড়খাপন বাজারে ঘটে । অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫) সহ তার পাঁচ পুত্র মো. মিলন বিশ্বাস (২৬), মো. শফিকুল বিশ্বাস (২৯), মো. মাসুম বিশ্বাস (২৪), মো,আরিফ বিশ্বাস (১৯), মো. কাইয়ুম বিশ্বাস (২০) সহ আরো ৭/৮ জন ব্যক্তি ।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গোড়াডুবা জলমহাল রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য ইজারাদার পক্ষে মো. পাছু মিয়া ও মো. কুদ্দুছ মিয়াসহ পাহাড়াদার হিসেবে নিযুক্ত দশজন ব্যক্তি । ইউপি সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এর আগেও একাধিকবার জলমহালে মাছ ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়েও নিযুক্ত পাহারাদারের বাধার কারণে মাছ ধরতে পারে নাই। রোববার অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জলমহালে হুমকি ধামকি দিয়ে তারা মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন বিকেলে বড়খাপন বাজরের একটি চায়ের দোকানে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন স্থানীয়রা। আলোচনায় এক পর্যায়ে দেখা বুজা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. মাঈন উদ্দিন বিশ্বাসের হুকুমে জলমহাল পাহারাদের ওপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায়। এতে করে মো. পাছু মিয়া ও মো. কুদ্দুছ মিয়া নামে দুইজন ব্যক্তি আহত হন। আহত ব্যক্তি দুইজন কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা প্রতিবেশী প্রভাবশালী হওয়ায় সবসময় সাধারণ মানুষ আতংকে থাকেন। ইউপি সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন বিশ্বাস ও তার ছেলেরা মাদকাসক্ত। ওই গ্রামে লোকদের নিয়ে মদ, ইয়াবা,গাজার আসর বসায় এমনকি অনৈতিক অপরাধ কর্মকান্ড চালায় তারা।
এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি আশ্রব আলী বলেন, অভিযুক্তরা প্রতিবেশী প্রভাবশালী পরিবার হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ জলমহালটি অবৈধভাবে তাদের দখলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করে আসছিল। রোববার আমরা যখন আলোচনায় বসি। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামীপন্থী মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ছেলেরাসহ লোকজন আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায় । এতে করে জলমহালের পাহারাদার দুজন গুরুতর আহত হন। আমরা নিরীহ মানুষ। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের পর অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, মো. পাছু মিয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :