ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চকরিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

চকরিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা বিচার বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিগণের মধ্যে জমির দখল-বেদখল নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়েছে।ওই চিত্র মোবাইলে ধারণ করতে গিয়ে  কে এম নাসির উদ্দিন নামে এক সাংবাদিককে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় চকরিয়ায় কর্মবত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।দোষীদের  বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন তারা বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চকরিয়া আদালত ভবনের সম্ভাব্য স্থান ব্যানার দিয়ে আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা টিনের ঘেরাবেড়া দেয়ার চেষ্টা করে।

এসময় পেশাগত কারণে ছবি তোলতে গিয়ে সংবাদকর্মী কেএম নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়।আহত নাসির উদ্দিন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।

সাংবাদিক নাছির জানায় জায়গা নিয়ে ইউএনও-ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বাকবিতন্ডার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়ে তার তার উপর অতর্কিত হামলা ও কার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টুর কাছথেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে, চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার পরেশ কান্তি দে জানান, কতিপয় ব্যক্তি আদালত সংলগ্ন আদালতের জমি দখল করতে ইট বালি স্তুপ করে আদালত ঘেঁষে খুঁটি দেয়া শুরু করলে, আদালতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ আদালতের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দখল কাজে বাঁধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে অরক্ষিত জায়গা সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে আদালত ও আইনজীবী সমিতির সদস্যগণ টিনের বেড়া দিয়ে আদালতের জমি বেদখল হতে রক্ষা করেন। পরে আইনজীবীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া আদালত ভবনের নামে আলাদা কোন জমি নেই। উপজেলা পরিষদের নামে ১৯৬৫ সালে অধিগ্রহণ করা ১২ একর জমি রয়েছে। ওইসব জমির মধ্যে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ভবন রয়েছে।আদালত ভবনের জমিটিও উপজেলা পরিষদের নামে অধিগ্রহণ করা। বিএস জরিপের সময় বিআরডিবি’র নামে ৮২ শতক জমি রেকর্ড হয়। উপজেলা পরিষদ এই ভুল জরিপের বিরুদ্ধে আদালতের শরপান্ন হবে। তাছাড়া বিআরডিবি অফিসও উপজেলা পরিষদের আওতাধীন।

আরবি/জেডআর

Link copied!