ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফরিদপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শিক্ষকের ওপর হামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ১০:১০ পিএম

ফরিদপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শিক্ষকের ওপর হামলা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ফরিদপুর: ফরিদপুরে ৩ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদুর রেজা নামে এক স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে রক্তাক্ত কাটা জখম করে তার নিকটে থাকা সবটাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষককে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই শিক্ষকের বাড়ী সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর গ্রামে।

এঘটনায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী সাথী সরকার বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামিকরে ফরিদপুর ৩ নং আমলী আদালতে একটি মামলা করেছেন।

মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন, সালথা  উপজেলার আটঘর গ্রামের কাওছার মন্ডল (৫০) ও তার দুই ছেলে সুজন মন্ডল (৩০) ও কামরুল মন্ডল (২৫)।

আদালতে দায়েরকৃত মামলা সৃত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে আসামি কাওছার মন্ডল ও তার দুই ছেলেসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন লোক শিক্ষক ফরিদুর রেজার বাড়িতে গিয়ে  দেশের চলমান আন্দোলন জোরদার রাখার জন্য প্রচুর লোক জোগাড় করা এবং তাদের যাবতীয় খরচ বাবদ তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

ফরিদুর রেজা নিজের মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে কাওছার মন্ডলকে নগদ ৫০ হাজার ও পরবর্তীতে আরো ২৫ হাজার টাকা দেন।

পরবর্তীতে কাওছার মন্ডল আরো  ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে ফরিদুর রেজা আর কোন টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আসামীগণ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং চাঁদার টাকা না দিলে এলাকায় শান্তিতে বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্য করতে দিবেনা বলে হুমকী দেয়।

এরপর গত ১৯ আগস্ট বিকালে এক লাখ আটাত্তর হাজার তিনশত টাকা নিয়ে পাট কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আটঘর জামাল শেখের বাড়ীর পাশে পাকা রাস্তার উপর আসামাত্রই আসামীগণ রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরিদুর রেজার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে।

এসময় ফরিদুর রেজা মাটিতে পড়ে ব্যাথায় যন্ত্রনায় ছটফট করে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকলে উক্ত চিৎকার শুনে জামাল শেখ এগিয়ে এলে সকল আসামীগণ জামাল শেখকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে সারা শরীরে মারাত্মক নিলাফুলা জখম করে। এরপর কাওছার মন্ডলের দুই ছেলে ফরিদুর রেজার নিকটে থাকা নগদ ১ লাখ ৭৮হাজার ৩শ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এসময় আসামিরা জামাল শেকের শার্টের পকেট থেকেও নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। 

ফরিদুর রেজা ও জামাল শেখের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসমিগণ ফরিদুর রেজাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত কাওছার মন্ডলের মুঠোফোনে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

আরবি/জেডআর

Link copied!