বিভিন্ন হাট থেকে ধান সংগ্রহ করেন আব্দুল বারিক সরকার এরপর ধান মারাই করে চাউল বের করে সে চাউল ভিজিয়ে গুড়া তৈরি করে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভূইয়াগাঁতী বাস স্ট্যান্ডের পাশে ছাতার নিচে ছোট চৌকির ওপর বসে বিক্রি করেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে। এই ভাপা পিঠা বিক্রির টাকা দিয়েই আব্দুল বারিক সরকার তার সংসার চালায়।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভূইয়াগাঁতি বাসস্ট্যান্ডের পাশে প্রতিদিনের ন্যায় বিক্রি করতে দেখা যায় আব্দুল বারিক সরকারকে।
এসময় কথা হলে আব্দুল বারিক সরকার বলেন, ৪৬ বছর ধরে এই পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। বছরের প্রায় সময় ঝাল পিঠা, তেলে পিঠা ও ভাপা পিঠা বিক্রি করি। এই পেশা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। সবমিলিয়ে বেকার না থেকে পিঠা বিক্রিকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক ভালো আছি।’
পিঠার দাম আর বেচা-কেনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি চাউলের গুড়ার পিঠা বিক্রি করি। প্রতিপিছ পিঠার দাম ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। এতে খরচ বাদে আয় হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা।’
আব্দুল বারিকের কাছে পিঠা খেতে আসা অনেকেই বলেন, আব্দুল বারিক সরকার প্রতিনিয়ত এখানে বসে পিঠা বিক্রি করেন। তিনি আমাদের সবার কাছে পরিচিত মুখ।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী আলম হোসেন বলেন, আব্দুল বারিক সরকার পিঠা বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দে সংসার চালাচ্ছেন। বেকার না থেকে এভাবে সিজনাল পিঠা বিক্রি করলে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। চিন্তা ও ভারমুক্ত ভাবে তারা সংসার চালাতে পারেন।’
আপনার মতামত লিখুন :