ঢাকা রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

বরিশাল মহানগর বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ তুঙ্গে

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০১:২৮ এএম

বরিশাল মহানগর বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ তুঙ্গে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বরিশাল বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের ফুরফুরে মেজাজে থাকার কথা। কিন্তু তা না হয়ে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-বিবাদের জেরে অন্তত তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা। গত ৫ আগস্টের পর এই তিন গ্রুপ যেমন বাগ্্যদ্ধে লিপ্ত, তেমনি সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে নাজুক করে ফেলছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বর্তমানে এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যে, হালিম মৃধার মতো ত্যাগী নেতাদের রাজপথে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। পাশাপাশি একসময়ের প্রতাপশালী বিএনপি নেতা সৈয়দ আকবর হোসেনের নাজিরেরপোলের বাসাসহ আরও অনেক নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী ও বরিশাল মহানগর বিএনপির অন্তত ২৫ জন সাবেক নেতা বর্তমান মহানগরের নেতৃত্ব মনিরুজ্জামান ফারুক ও জিয়া উদ্দিন সিকদারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। 

এদিকে শহরের রুপাতলীতে যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম মৃধার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে সদর রোডে মানববন্ধনসহ লিখিতভাবে নিন্দা-প্রতিবাদও জানিয়েছেন সাবেক নেতারা। এ নিয়ে কদিন ধরে বরিশাল বিএনপিতে উত্তেজনা বিরাজ করার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাতে অল্প সময়ের ব্যবধানে সাবেক নেতা সৈয়দ আকবর এবং বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটুর কাউনিয়ার বাসায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অবশ্য এই ঘটনায়ও ভুক্তভোগী সৈয়দ আকবর ও লিটু সরাসরি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও জিয়া উদ্দিন সিকদারের যোগসূত্রের অভিযোগ আনলেও আরেকটি অংশের নেতৃত্বে থাকা একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলছেন, তদন্ত করা জরুরি। ফলে বরিশাল মহানগর বিএনপি যে বর্তমানে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি কিছুদিন আগে মহানগরের নেতারা ভেঙে দিলে নিজেদের মধ্যকার অসন্তোষ আরও বৃদ্ধি পায়। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে ৪২ জন সদস্য থাকলেও তাদের সবার মতামত গ্রহণ না করে কয়েকজনকে নিয়ে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক নাসরিন দলীয় একটি বৈঠকে তাদের উপস্থিতিতেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা নাসরিন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়েছেন। একাধিকবার কারাবরণসহ হয়েছেন হামলার শিকারও। সাহসী এই নারী নেত্রীকে ৫ আগস্টের আগে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছিল। যোগ্যতার চেয়ে নাসরিনকে উচ্চতর পদ দেওয়া হয়েছে এমন দাবি করে বিতর্ক উসকে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টাও চালানো হয়। কিন্তু এই নেত্রী ৫ আগস্টের আগে-পরে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে মনিরুজ্জামান ফারুক এবং জিয়া উদ্দিন সিকদারের ন্যায় সমান্তরাল ভূমিকা রেখে বেশ আলোচিত হন। ফলে তাকে আর পেছন থেকে টেনে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিএনপির হাইকমান্ড মনিরুজ্জামান ফারুক, জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং আফরোজা খানম নাসরিনকে স্বপদে বহাল রেখে বরিশাল বিএনপির কমিটিতে ৪২ জনের নাম ঘোষণা করেন। মূলত এর পরেই বরিশাল মহানগর বিএনপিতে রেশারেশি শুরু হয়, যা এখন সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বরিশাল বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং বা বিভাজন আছে, তা বিদগ্ধ নেতৃত্ব নাসরিনও স্বীকার করেছেন। তবে এর জন্য তিনি আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ কয়েকজনকে দায়ী করছেন। তার অভিযোগ, হাইকমান্ড সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দিলেও তা উপেক্ষা করছেন আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। সাংগঠনিকভাবে কোনো আলোচনা না করেই অনেক সিদ্ধান্ত তারা দুজনে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেন, যা নিয়ে অনেকের ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষ করে দুজনের সিদ্ধান্তে ওয়ার্ড কমিটি ভাঙা এবং ত্যাগী নেতারা দলীয় ঘরনার কর্মী দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় অনেকেই সংক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য করেন নাসরিন।

তিনি জানান, বরিশাল মহানগর বিএনপিতে কী হচ্ছে, তা ইতিমধ্যে হাইকমান্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং এর সপক্ষে পর্যাপ্ত নথিপত্রও দেওয়া হয়, বাদবাকি সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড নেবে। তবে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দ আকবর ও জহিরুল ইসলামের বাসায় যে হামলা হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করা জরুরি। ওই হামলায় যারা জড়িত থাকুক এবং তারা যতই ক্ষমতাধর হোক না কোন, তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী নাসরিন।

সূত্র জানিয়েছে, ফারুক-জিয়ার বিরুদ্ধাচরণ করা মীর জাহিদুল কবির, সৈয়দ আকবরসহ সাবেক ২৫ নেতা বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে কলকাঠি নাড়লেও নাসরিন সর্বদা আপন গতিতে হাঁটেন।

বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, তৎকালীন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের সঙ্গে কিছুদিন আগে মজিবর রহমান সরোয়ারের ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই! তারই যেন বাস্তব উদাহরণ মজিবর রহমান সরোয়ার ও মীর জাহিদের এই পুনর্মিলনী। 

সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘ একটা সময় ধরে বরিশালের রাজনীতিতে উপেক্ষিত ছিলেন মজিবর রহমান সরোয়ার। বর্তমান নেতৃত্ব সারির সবাই সে সময় তার অনুগত বা অনুসারী হিসেবে পরিচিত থাকলেও অনেকের সঙ্গেই এখন আর সম্পর্ক ভালো নেই।

বলা যায়, তিনি নিজের সুবিধামতো ছড়ি ঘোরাতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃত্বে বদল আনতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। মনিরুজ্জামান ফারুক ও মীর জাহিদ যখন বরিশাল মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন, তখনো সরোয়ার তার পছন্দসই নেতৃত্বকে শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত করার তোড়জোড় চালিয়েছেন। এরপর হাইকমান্ড ৫ আগস্টের আগে মীর জাহিদকে সরিয়ে মনিরুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন সিকদার ও নাসরিনদের নিয়ে কমিটি করে দিলে তা নিয়ে নেতা সরোয়ার নোংরা রাজনীতি শুরু করেন, করছেন।

মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, মজিবর রহমান সরোয়ার যখন বরিশাল মহানগরের সভাপতি ছিলেন, বর্তমান নেতৃত্ব অধিকাংশই তার অনুগত ছিল। ২০২১ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এক নেতার এক পদ ঘোষণা দিলে নেতা সরোয়ার স্থানীয় নেতৃত্ব হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও বরিশাল মহানগর বিএনপিতে কর্তৃত্ব ধরে রাখতে নিজের পছন্দসই কর্মীদের শীর্ষ পদে বসানোর মিশন নেন। সরোয়ারের সেই অতীত নোংরা রাজনীতি নিয়ে স্থানীয় দৈনিকসহ জাতীয় পত্রিকাগুলোতেও সে সময় মোটা দাগে বহু শিরোনাম হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন নিশ্চুপ থাকলেও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ফের স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, মনিরুজ্জামান ফারুক ও জিয়া সিকদারের বিরোধী সৈয়দ আকবর, মীর জাহিদসহ ২৫ জন সাবেক নেতাকে নিয়ে যে বলয় তৈরি হয়েছে, তা সরোয়ারের নির্দেশনার আলোকেই। এসব নেতা এতদিন অনেকাংশে নীরব থাকলেও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ভিন্ন ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন।

তাছাড়া এখনো যেকোনো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তারা এককভাবে পালন করছেন, সে ক্ষেত্রে মহানগর বিএনপির নামও ব্যবহার করা হচ্ছে শনিবার পথসভায় এই অভিযোগ করেন সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার।

বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ফারুক ও জিয়া উদ্দিন জুলাই মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে জিয়াকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের সিঅ্যান্ডবি রোডে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছিলেন। পাশাপাশি আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুককেও মারধর করা হয়। এর আগে আন্দোলনে রাজপথে নেমে মনিরুজ্জামান ফারুক কারাবন্দিও ছিলেন। দুঃসময়ে বরিশালে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য এই দুজন নেতার পাশাপাশি একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এবং কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস জাহান শিরিনও সমানভাবে আলোচিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বরিশাল বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়ে যে বিরোধ চলছে, তা দ্রুত সমাধান না হলে সংঘাত ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটে যাবে। এরই মধ্যে কয়েকজনের নেতৃত্বে তিনটি গ্রুপ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাবেক ও বর্তমান নেতারা মারধরের শিকারসহ বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে, যা সবাই নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে হবে। এর জন্য হাইকমান্ডের উদ্যোগ ও তদারকি দরকার। নতুবা এমনটি চলতে থাকলে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে তফাত থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশ্য বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার এরই মধ্যে সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাবেক ও বর্তমান দুই নেতার বাসাবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরে তার কর্মীদের কোনো যোগসূত্র নেই। তার পরও তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ রেখেছেন এবং পরিশেষে এ-ও দাবি করেছেন দুই নেতার বাসায় হামলার ঘটনাটি সাজানো বা পরিকল্পিতও হতে পারে। পাশাপাশি বরিশাল মহানগর বিএনপি কারও জন্য দরজা বন্ধ রাখেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।’ ওই সভায় আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকও উপস্থিত ছিলেন।

সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যায় একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলছেন, তাদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হওয়া উচিত। হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা তারা উপেক্ষা করে চলছেন। বিষয়গুলো তিনি ও বিভিন্ন মাধ্যমে তারেক রহমানসহ হাইকমান্ডকে অবহিত করে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার দুই নেতার বাসায় হামলার ঘটনাও সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ রাখেন এই নারী নেত্রী।

নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন আছে স্বীকার করে বরিশাল সিটির সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আকবর হোসেন বলেন, মহানগরের নেতৃবৃন্দ তাদের কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা দূরের কথা, কিছু অবহিতও করেন না। সংগত কারণে তারা ২৫ সাবেক নেতা একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো পালন করছেন। রাষ্ট্র সংস্কারে তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফার সপক্ষে শুক্রবার রাজপথে নামার পূর্বপ্রস্তুতি জানতে পেরেই তিনিসহ লিটুর বাসায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়, যাতে ভয় পেয়ে কেউ লিফলেট বিতরণে না করেন। কিন্তু তাদের সেই মিশন ব্যর্থ হয়েছে, শুক্রবারের পর শনিবারও নথুল্লাবাদে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই নেতা অভিযোগ করেন, নথুল্লাবাদে শনিবার লিফলেট বিতরণকালেও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার সেখানে বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মাঠে ছিলাম, আছি, থাকব বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ আকবর। 

বরিশাল মহানগর বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতারা যে গ্রুপিংয়ে জড়িয়েছেন, তা তাদের নেতা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারও স্বীকার করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, বরিশাল মহানগরের রাজনীতি নিয়ে অবশ্য তার আগ্রহ রয়েছে। কারণ তিনি দীর্ঘদিন মহানগরের নেতৃত্বে ছিলেন এবং বরিশাল নগর তার সদর আসনের অভ্যন্তরে।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান মহানগর বিএনপিতে নানা কারণে দৈন্য দেখা দিয়েছে। নতুন যে কমিটি আছে, তাতে অনেকে বাদ পড়েছেন। এখন বিজয় দিবসসহ নানা অনুষ্ঠানে বঞ্চিতদের অবস্থান স্পষ্ট ফুটে উঠছে। সবাইকে নিয়ে কমিটি করা উচিত। সম্মেলন করলে বিভক্তি থাকবে না এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও সবার মতামত নিয়ে বা সম্মেলন করে করা অনুচিত হবে না।

আরবি/জেডআর

Link copied!