প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার শহরে ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধ হচ্ছে তবে চলবে গলির রাস্তায়। গেল ২ মাস থেকে হঠাৎ করে শহরে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশায় সয়লাব। তাদের বেপরোয়া গতি ও সড়কের নিয়ম মেনে না চলায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া শহর জুড়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা, টমটম ও সিএনজির যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারনে যানজট লেগে থাকছে। অবৈধ ৫ হাজার সিএনজি বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহন
করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। তাদের এমন বেপরোয়া আচরণে পথচারীরা সবসময়ই দূর্ঘটনার আতংকে থাকছেন। খুব শিগরিই অবৈধ এসকল রিকশা, টমটম ও সিএনজি বন্ধে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম এই তথ্যটি জানান। তিনি বলেন, অবৈধ সিএনজি ও টমটম গুলো বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। শহরের সড়কগুলোতে এসব অবৈধ যানবাহন আর চলতে দেওয়া হবেনা। মৌলভীবাজার জেলায় ৩৬ হাজার সিএনজি রয়েছে। কিভাবে এতো সিএনজি বৃদ্ধি পেলো তা আমরা খতিয়ে দেখব। এবং যাদের কাগজপত্র আপডেট নেই তাদেরকে আমরা আটক করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, শহরে প্রায় ১৫ হাজার টমটম রয়েছে এগুলো সাবেক পৌরসভার মেয়র তাদেরকে চলার অনুমতি দিয়েছেন। তখন আমাদের পুলিশের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। যখনই শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় তখন বিভিন্ন পর্যায় থেকে পুলিশের উপরে দোষারোপ সৃষ্টি হয়। আমরা সব সময় আপনাদেরকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি ও কাজ করে যাবো। পর্যায়ক্রমে টমটম গুলোকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি জানান, আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত এজেলায় যাতে চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি না পায় সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। তবে এবিষয়ে ও জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সচেতন সহযোগির আহবান জানান। এদিকে জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা সুন্দরভাবে সমাপ্ত হওয়ায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :