পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটায় আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর ২০২৪) শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মালম্বীদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রাস মেলার আনুষ্ঠানিকতা। ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবে আগমন ঘটবে লাখ লাখ পূন্যার্থীর। এ উপলক্ষে কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রম সাজনো হয়েছে নতুন সাজে। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
কারিগরদের রং তুলির নিপুন ছোয়ায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা। শনিবার ভোররাতে কুয়াকাটা সৈকতে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা স্নান। এ অনুষ্ঠান ঘিরে সৈকতে বসবে সহস্রাধীক অস্থায়ী দোকান। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
কুয়াকাটা রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল জানান, এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতি। শ্রীকৃষ্ণের লীলা কীর্তনে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের কবিতা ঘোষ। শনিবার (১৬ নভেম্বর ) সূর্য উদয়ের আগেই রাস পূর্ণিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকত কুয়াকাটায় পাপ মোচনের লাভের আশায় নামবে ভক্তদের ঢল। একই দিন সৈকতে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহিত এনে। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবে রাস পূজা, সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান৷ দুদিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে রাতযাপন করলে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে। প্রায় হোটেলে ৭০ ভাগ রুম বুকিং হয়েগেছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পন্যার্থিদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সর্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক মহিপুর থানা পুলিশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :