জালিমের প্রতি দয়া দেখানো শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি

পিরোজপুর: সারা দেশে গত ১৭ বছর অত্যাচার ও জুলুমের স্টিম রোলার চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আমরা প্রত্যেকটি জুলুম ও হত্যার বিচার চাই। আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি। জালিমের প্রতি দয়া দেখানো মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা পরিবেশ পরিস্থতির কারণে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা। কিন্তু যারা ফাঁসির দড়ি নিয়ে মিছিল করেছেন তাদের ক্ষমা নেই। আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল হত্যার মধ্য দিয়ে।

মাসুদ সাঈদী বলেন, শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই ছিল হত্যার ইতিহাস। ২০১৩ সালে তথাকথিত ওই ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদীর মিথ্যা মামলায় মিথ্যা রায় দিয়েছিল, সে প্রতিবাদে যখন সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল তখন ওই কোরআন প্রেমিক জনতার বুকে হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩শ মানুষকে হত্যা করেছে। শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিল নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে, তখন হাসিনার নির্দেশে রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, পিরোজপুর-১ আসনে আমার বাবা দু’বারের এমপি ছিলেন, তারপরে এ আসনে আরও দুজন এমপি ছিল তারা কী করেছে তা আমি বলতে চাই না। আমি আল্লামা সাঈদীর সন্তান, তার পবিত্র রক্ত আমার শরীরে। আমি আজ আপনাদের কাছে ওয়াদা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়ে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দেন, আমাকে আপনাদের খাদেম বানান, তাহলে আমি ওয়াদা দিয়ে যচ্ছি আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নাজিরপুর, পিরোজপুর ও জিয়ানগরকে ঢেলে সাজাব ইনশাআল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতে আমির অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জাল হোসেন ফরিদি, নায়েবে আমির আব্দুর রব, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা জামায়াতের সদস্য ড. আব্দুল্লাহীল আল-মাহামুদ, উপজেলা আমির আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি কাজী মো. মোসলেউদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ইয়ার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, সাবেক ছাত্র নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র শিবির সভাপতি আবু হানিফ শেখ প্রমুখ।